ঢাকা প্রেস নিউজ
কম দামে বিস্কুট, কেক ও ফলের জুস খাওয়ার দিন হয়তো শেষের পথে। উদ্যোক্তারা সতর্ক করেছেন—যদি ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে শিগগিরই দাম বাড়ানো হবে। অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের ওপর কর বৃদ্ধির প্রভাব শুধু ভোক্তাদের ওপর নয়, কৃষকদের ওপরও পড়বে। কর্মসংস্থানেও আসতে পারে বড় ধাক্কা।
ঢাকা শহরের রিকশাচালক রহিম মিয়া কয়েক বছর ধরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। দিনের পর দিন চা-বিস্কুট খেয়ে ক্ষুধা মেটান তিনি। আগে যেখানে ১০-১২ টাকায় নাস্তা সারা যেত, এখন সেটি ২০-২৫ টাকায় পৌঁছেছে।
নিম্নআয়ের মানুষ থেকে মধ্যবিত্তদের সকালের নাস্তার খরচও বাড়ছে। কেক ও বিস্কুটের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫ শতাংশ। ফলের জুস ও ড্রিংকের সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশে উৎপাদিত ৮০-৯০ শতাংশ বিস্কুটের দাম ৫, ১০ ও ১৫ টাকার মধ্যে থাকে, যা সাধারণ মানুষ বেশি কেনে। ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে ৫ টাকার বিস্কুটের দাম হবে ৭ টাকা, ১০ টাকার বিস্কুট হবে ১৩ টাকা, আর ২০ টাকার জুসের দাম পৌঁছাতে পারে ২৫ টাকায়। নতুবা দাম ঠিক রেখে পণ্যের পরিমাণ কমাতে হতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করছেন, এমনিতেই মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। তার ওপর নতুন করে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে চাহিদা কমে যেতে পারে, যা শিল্প কারখানার উৎপাদন ও বিক্রয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে রাজস্ব আদায়ও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বর্তমানে দেশে এক হাজারেরও বেশি ছোট-বড় কৃষি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প কারখানা রয়েছে, যা মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৭ শতাংশেরও বেশি অবদান রাখে। এসব খাদ্যপণ্য রপ্তানিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অতিরিক্ত কর আরোপের ফলে এ খাতের প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।