ঢাকা প্রেস নিউজ
বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠের ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।
সামাজিক মাধ্যমে জ্যোতির প্রতিক্রিয়া:
জ্যোতি নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “গতকাল সরকার শপথ নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে শুধু কোরআন পাঠ হলো; অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ বাদ দেওয়া হয়েছে। যেসব অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয় সেসব অনুষ্ঠানে কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। এটাই আমরা দেখে আসছি সারাজীবন। ব্যক্তিগতভাবে আমি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ পাঠের প্রয়োজনীয়তা দেখিনা। গতকালের শপথ অনুষ্ঠানে কোরআন ছাড়া বাকি ধর্মগ্রন্থগুলো বাদ দেওয়া হলো কীসের ভিত্তিতে? কী উদ্দেশ্যে?”
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত সরকার শুরুই করলো বৈষম্য দিয়ে। যেকোনও সরকারের মেয়াদ নির্ধারিত থাকে। অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের মেয়াদ কতোদিন? সেটা জানান হচ্ছেনা কেন? কবে জানব আমরা?”
জ্যোতিকা জ্যোতি বাংলা চলচ্চিত্রের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি ‘আয়না’, ‘নন্দিত নরকে’, ‘অনিল বাগচির একদিন’, ‘লাল মুরগির ঝুঁটি’ সহ অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র এবং টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি তিনি গৌতম কৈরীর ‘বঙ্গমাতা’ চলচ্চিত্রে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এর আগে হাসিনার পতনের পর ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন জ্যোতি। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে নাকি কেঁদেছিলেন বলে দাবি করে সেই গণমাধ্যম। সেখানে জ্যোতি বলেছিলেন, দেশের পরিস্থিতি খুবই কঠিন। বাংলাদেশে এখন সংখ্যালঘুদের প্রতি অত্যাচার হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙা হচ্ছে।
জ্যোতিকা জ্যোতির এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তার এই অভিযোগের সমর্থন জানিয়েছেন আবার অনেকেই বিরোধিতা করেছেন।