ঢাকা প্রেস
সোহাগ আহম্মেদ, বিশেষ প্রতিনিধি:-
"একহাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতুর্য" প্রেম ও বিদ্রোহ, সাম্য ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতার মধ্যে দিয়ে গণমানুষের সুখ,দুঃখ, পাওয়া,না পাওয়া ও অধিকার আদায়ের কথা বলেছেন।
বিশেষ করে সোচ্চার কন্ঠস্বরের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। তাইতো তিনি অবিসংবাদিতভাবে বাংলাদেশিদের কাছে জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন এবং আছেন।বাংলাদেশে আসার প্রায় ৫২ বছর পর পেলেন জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। ১৯৭২ সালের ২৪ মে, স্বাধীন বাংলাদেশে আগমনের দিনই তাঁকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করা হলেও, এতদিন এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক গেজেট বা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। ফলে তাঁর এই মর্যাদার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এতদিন ছিল না।
আজ, ২ জানুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আতাউর রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কবি 'কাজী নজরুল ইসলামকে' বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়েছে এবং এটি সবার অবগতির জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হয়।
জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মৌখিকভাবে অমোঘ সত্য হিসেবে স্বীকৃত ছিল। কবির বাংলাদেশে আগমনের দিন থেকেই জনগণ তাঁর জন্য আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় ছিল। অবশেষে দেরিতে হলেও এই স্বীকৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশ মানুষ কবিকে আবারো শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার সুযোগ পেল।