|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৫৯ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১১ জুন ২০২৩ ০৫:৪৮ অপরাহ্ণ

মিসরের বিখ্যাত মসজিদে ২২৫ বছর পর জুমার নামাজ


মিসরের বিখ্যাত মসজিদে ২২৫ বছর পর জুমার নামাজ


২৫ বছর পর মিসরের বিখ্যাত আল-জাহির বায়বার্স মসজিদে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার (৯ জুন) রাজধানী কায়রোতে অবস্থিত মসজিদের প্রথম জুমার নামাজে অংশ নেয় হাজার হাজার মুসল্লি। জুমার পুরো কার্যক্রম বিভিন্ন গণমাধ্যম লাইভ সম্প্রচার করে। এর আগে গত ৫ জুন আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমাম শায়খ আহমদ আল-তাইয়িবের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তা উন্মুক্ত হয়।

মিসরের রাজধানী কায়রোর উত্তরে তিন একর এলাকাজুড়ে আল-জাহির বায়বার্স মসজিদটি মিসরের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ। ১২ হাজার বর্গমিটার আয়তনের মসজিদটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ছিল। গত সপ্তাহে মসজিদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শায়খ আহমদ আল-তাইয়িব বলেন, সুলতান আল-জাহির বায়বার্স ইসলামের ইতিহাসের সাহসী পুরুষদের অন্যতম। আরববিশ্ব বিশেষত মিসরীয় অঞ্চলে রাজনীতি, অর্থনীতি ও স্থাপত্য ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

জানা যায়, ১২৬৮ সালে মামলুক শাসনামলে মসজিদটি নির্মিত হয়। মামলুক সুলতান আল-জাহির বায়বার্স আল-বানদুকদারির নামে নামকরণ করা হয়। ১৭৯৮ সালে মিসরে ফরাসি আগ্রাসনের পর মসজিদটি দখল হয় এবং তাতে নামাজ বন্ধ হয়ে পড়ে। তখন মসজিদের উঁচু প্রাচীরের ওপর কামান স্থাপন করা হয় এবং তা সামরিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।


১৮০৫-১৮৪৯ সালে মিসরের অটোমান গভর্নর মুহাম্মদ আলী পাশার শাসনামলে তা সাবান কারখানা অতঃপর সেনাবাহিনীর বেকারি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিক থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত তা কসাইখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পরবর্তী সময়ে দীর্ঘদিন ধরে তা পরিত্যক্ত স্থান হিসেবে পড়ে ছিল।

২০০৭ সাল থেকে মিসর ও কাজাখস্তান সরকারের অর্থায়নে মসজিদটি পুনরুদ্ধার শুরু হয়। এরপর ২০১১ সাল থেকে আট বছর এই কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

অতঃপর ২০১৮ সালে পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়ে গত সপ্তাহে মজসিদটি উদ্বোধন হয়। মসজিদটি পুনরুদ্ধারকাজে ৭৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় হয়।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫