কুতুবদিয়ায় দুই জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ৩১ নাবিকের নিরাপদ উদ্ধার

প্রকাশকালঃ ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ০২:২২ অপরাহ্ণ ৬১৯ বার পঠিত
কুতুবদিয়ায় দুই জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ৩১ নাবিকের নিরাপদ উদ্ধার

 

ঢাকা প্রেস
মঈনুদ্দীন শাহীন,ষ্টাফ রিপোর্টার (কক্সবাজার):-


 

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় দুটি তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসবাহী জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার মধ্যরাতে কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে সাগরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজ সোফিয়া ও মাদার ভেসেল ক্যাপ্টেন নিকোলাস নামে এই দুটি জাহাজে আগুন লাগে। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলা এই ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে উদ্ধারকারী দল।
 

৩১ নাবিকের নিরাপদ উদ্ধার:

আগুন লাগার সাথে সাথে জাহাজের ৩১ জন ক্রু সাগরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচান। পাশেই থাকা একটি টাগবোট দ্রুত তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত নাবিকদের মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশি, ৮ জন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন ভারতীয়। তাদেরকে নগরীর একটি হোটেলে রাখা হয়েছে।
 

তদন্ত কমিটি গঠন:

এই ঘটনার তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
 

দুই সপ্তাহে চারটি জাহাজে আগুন:

গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি বাংলাদেশের জলসীমায় জ্বালানিবাহী চতুর্থ জাহাজে আগুন লাগার ঘটনা। এই সকল ঘটনায় চারজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৭৮ জন সাগরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন।
 

আগুন লাগার কারণ:

আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সোফিয়াতে আগুন লাগার পরপরই পাশে থাকা ক্যাপ্টেন নিকোলাসেও আগুন ধরে যায়। সোফিয়াতে গ্যাসের যে চিমনি ছিল, তা থেকে বিষাক্ত গ্যাস বের হচ্ছিল। সেই গ্যাসের কারণেই মূলত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 

উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ:

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কোস্টগার্ডের দুটি এবং নৌবাহিনীর পাঁচটি অত্যাধুনিক জাহাজ কাজ করেছে। তবে সাগরে থাকা বড় জাহাজে আগুন লাগলে এসব প্রতিষ্ঠান তা নিয়ন্ত্রণে কতটা সক্ষম হবে– সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
 

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা:

কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মনে করেন, সোফিয়াতে জ্বালানি গ্যাস পরিবহনে যে পরিমাণ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল, সেটি বসুন্ধরা গ্রুপ নেয়নি।
 

তদন্ত কমিটির কাজ:

তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং উদ্ধারকৃত ক্রুদের সাথে কথা বলে তদন্তের কাজ শুরু করেছে। তারা এটি স্রেফ দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা, তা খতিয়ে দেখবে।
 

জাহাজের অবস্থা:

লাইটার জাহাজ সোফিয়া প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে পুড়েছে। এটির ভেতরে-বাইরে কোনো অংশ আর অক্ষত আছে বলে মনে হয় না।
 

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের অবস্থা:

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের এমডি কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, তেল পরিবহনের জন্য এখন আমাদের হাতে ভালো কোনো জাহাজ নেই।
 

নৌ-বাণিজ্য দপ্তরের ভূমিকা:

নৌ-বাণিজ্য দপ্তর মেয়াদোত্তীর্ণ জাহাজকে কীভাবে ফিটনেস সনদ দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
 

সাগরে জাহাজে আগুন লাগলে কী করণীয়:

সাগরে থাকা জাহাজে আগুন লাগলে তা নির্বাপণ অনেক চ্যালেঞ্জিং।
 

সামগ্রিক বিশ্লেষণ:

এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং জাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা জরুরী।