|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:৫৭ অপরাহ্ণ

হত্যা মামলায় সীমান্তের দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার


হত্যা মামলায় সীমান্তের দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার


কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকা থেকে জনি হত্যা মামলার দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রাম হাইওয়ে এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—জামালপুর গ্রামের কাবের আলীর ছেলে নাজমুল (৩৫) এবং একই এলাকার ছামুর ছেলে লালু (৪৬)। তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই অঞ্চলে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায় জড়িত এবং তাদের নামে একাধিক হত্যা, অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে।
 

এর আগে হত্যার রাতেই এ মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন—জামালপুর গ্রামের দুল্লোব আলীর ছেলে সিকান্দার আলী (৬০) এবং জাহিদুল ইসলামের ছেলে আসিফ হোসেন (১৫)। এভাবে মামলায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
 

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ নভেম্বর দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুণ্ডি মাঠপাড়া এলাকায় দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে জনি হোসেন (৩২)কে কুপিয়ে এবং পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ওই এলাকার চিহ্নিত শীর্ষ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী সোহান, লালু, নাজমুলসহ প্রায় ৩০-৪০ জন অংশ নেয়।
 

নিহত জনি ছিলেন জামালপুর এলাকার মৃত জাকির হোসেনের ছেলে। জনি দীর্ঘদিন ধরে সোহানের হয়ে অস্ত্র ও মাদক বহনের কাজ করতেন। তবে পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে গত ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় তুমুল বিরোধ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে জনির পিঠে সেলাই দিতে হয় এবং সোহান তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। প্রাণভয়ে সেদিন রাতেই জনি মহিষকুণ্ডি মাঠপাড়া এলাকায় আশ্রয় নেন। পরদিন শনিবার দুপুরে বাড়ি ফেরার সময় সোহানের নেতৃত্বে বড় একটি সশস্ত্র দল তার ওপর হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে জনিকে হত্যা করা হয়, এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়।
 

হত্যার পর নিহত জনির মা হাসু খাতুন দৌলতপুর থানায় ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রথম দুই আসামি গ্রেপ্তারের পর পুলিশের বিশেষ অভিযান আরও দুই আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
 

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ কালবেলাকে বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া পুলিশের একটি টিম নাজমুল ও লালুকে বড়াইগ্রাম হাইওয়ে এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সন্ধ্যায় দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।”
 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, “জনি হত্যা মামলার ১ ও ৫ নম্বর আসামি ঢাকায় পালানোর চেষ্টা করছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের একটি টিম তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫