|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৪ মার্চ ২০২৫ ০৬:২৫ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০২ মার্চ ২০২৫ ০১:৪৬ অপরাহ্ণ

ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে পরিচিতি সভা করল গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ


ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে পরিচিতি সভা করল গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ


ঢাকা প্রেস নিউজ

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ শনিবার বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে পরিচিতি সভা করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নবগঠিত এই সংগঠন শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা ও দেশের কল্যাণে ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। সভায় বক্তারা বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়; বরং রাজনৈতিক সহাবস্থান ও ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের স্বার্থ নিশ্চিত করা সম্ভব।
 

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয় বিকেলে মধুর ক্যান্টিনে। এতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মানসুরা আলম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঢাবি শাখার সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ঢাবি ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি মহিউদ্দীন খান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল, ছাত্রফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের খালেদ সাইফুল্লাহ এবং ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু।
 

ছাত্রদলের মানসুরা আলম বলেন, "ছাত্রসংসদের নেতারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা সকল সংগঠন মিলে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে রাজনীতি করতে চাই।"
 

ছাত্রশিবিরের মহিউদ্দীন খান বলেন, "ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহাবস্থান দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ছিল। এটি ফিরিয়ে আনতে হবে। ছাত্রসংসদের ভূমিকা ভবিষ্যতেও গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে আমরা আশা করি।"
 

ছাত্র ইউনিয়নের মেঘমল্লার বসু বলেন, "বিরাজনীতিকরণ কোনো সমাধান নয়। শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি অপরিহার্য।"
 

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ইয়াসিন আরাফাত বলেন, "একাত্তরকে আওয়ামী লীগ এককেন্দ্রিক করেছিল, তেমনি জুলাই আন্দোলনও যেন একদলের দখলে না থাকে। বাস্তবতা মেনে রাজনীতি করতে হবে।"
 

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, "ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের মাধ্যম। দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসের রাজনীতি আমরা চাই না।"
 

স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন খালিদ বলেন, "ক্যাম্পাসের পরিবেশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আমাদের ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।"
 

ছাত্রফেডারেশনের সৈকত আরিফ বলেন, "জুলাই আন্দোলনে ছাত্রসংসদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।"
 

বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, "জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও আহতদের পুনর্বাসনের দাবিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।"
 

সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, "অপরাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা সকল ছাত্রসংগঠনকে একত্রিত করতে পেরেছি। বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে আমরা ক্যাম্পাসে সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে চাই।"
 

ঢাবি শাখা ছাত্রসংসদের মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম ও মুখপাত্র রাফিইয়া রেহনুমা হৃদি সভার সঞ্চালনা করেন। সমাপনী বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্যসচিব মহির আলম।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫