গরিবের চাল খাদ্য কর্মকর্তার পেটে

প্রকাশকালঃ ২০ মার্চ ২০২৩ ০২:৫৫ অপরাহ্ণ ১৬৪ বার পঠিত
গরিবের চাল খাদ্য কর্মকর্তার পেটে

বরগুনার বেতাগীতে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিজিডি ও জেলে চাল বিতরণে মাপে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবস্তায় গড়ে ৩-৫ কেজি চাল কম দিচ্ছেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগিদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে।

 

জানা গেছে, গত শনিবার উপজেলার সড়িষামুড়ি ইউনিয়নের ৭২ টন ভিজিডি ও জেলে চাল খাদ্য গুদাম হতে সকাল থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় বস্তায় ৩০ কেজির পরিবর্তে কোনো বস্তায় ২৪ আবার কোনো বস্তায় ২৭ কেজি করে চাল সরবরাহ করা হয়। মাপে কম দেওয়ার কারণে ইউপি সচিব, ইউপি সদস্য, খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের সঙ্গে বাকবিতাণ্ডা শুরু হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়।

সরিষামুড়ি ইউনিয়নের সচিব ভবরঞ্জন হাওলাদার অভিযোগ করেন, সরিষামুড়ি ইউনিয়নের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ৭২ টন (দুই হাজার চার'শ বস্তা) চাল নেওয়ার জন্য ইউপি সদস্যসহ তিনি বেতাগী খাদ্য গুদামে আসেন। ট্রলারে চাল ভর্তি করা শুরু হলে চালের বস্তা পুণ:সেলাই দেখে তাদের সন্দেহ হলে তারা সাংবাদিকদের খবর দেয়। গণমাধ্যম কর্মিদের সম্মুখে ট্রলারের ভেতরে রাখা উক্ত বস্তা পরিমাপ করার সময় ২৪ কেজি থেকে ২৭ কেজি চাল পাওয়া যায়। খাদ্য গুদামের ভেতরে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতে সেখানেও পরিমাপে হেরফের ঘটে।

সরিষামুড়ি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন,‘খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত চালের অধিকাংশ বস্তার মুখ স্থানীয়ভাবে পুন:সেলাই করা হয়েছে। এসব বস্তার চাল আগেভাগে সরানোর পর পুন:সেলাই করে তা তাদের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে পরিমাপে চাল কম পাওয়া যাচ্ছে।’

 

বেতাগী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রিগ্যান দেবনাথ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। চাল বিতরণে পরিমাপে কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তবে এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'