ডা. জুবাইদা রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৫ মে ২০২৫ ০৪:২৯ অপরাহ্ণ   |   ৯৩ বার পঠিত
ডা. জুবাইদা রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-

 

দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে তিনি লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছাবেন শাশুড়ি ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে। দেশে ফিরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বাবার বাড়ি 'মাহবুব ভবনে' উঠবেন তিনি।
 

ডা. জুবাইদার আগমনকে কেন্দ্র করে ওই বাড়িতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বাড়ির ভেতরে-বাইরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা—স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি, নিশ্চিত করা হয়েছে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, এবং জেনারেটরের মাধ্যমে বিকল্প বিদ্যুৎ-ব্যবস্থাও।
 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানান, জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। মাহবুব ভবনের চারপাশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন সিএসএফ সদস্য ও পুলিশ। তবে এলাকাবাসীর যেন কোনো ভোগান্তি না হয়, সে বিষয়ে তারেক রহমান কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন—নিরাপত্তার নামে জনসাধারণকে বিরক্ত করা যাবে না।
 

জুবাইদা রহমানের যাতায়াতের জন্য নির্দিষ্ট যানবাহনের ব্যবস্থাও সম্পন্ন হয়েছে।
 

বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার গত ৩০ মে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে একটি চিঠি দিয়ে জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেই চিঠিতে গানম্যান, পুলিশ প্রটেকশন, আর্চওয়ে ও বাসায় পুলিশ পাহারার আবেদন জানানো হয়। চিঠির পরপরই পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা মাহবুব ভবন পরিদর্শন করে নিরাপত্তা-ব্যবস্থার বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করেন।
 

বর্তমানে মাহবুব ভবনে বসবাস করছেন ডা. জুবাইদার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, বড় বোন শাহীনা জামান ও তার পরিবার। তবে জানা গেছে, সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
 

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকা ছাড়েন জুবাইদা রহমান। একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। মামলার রায়ে জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তবে ২০২4 সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই সাজা স্থগিত করা হয়।