|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৩:৪৪ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

চিলমারীতে সরকারী মৎস্য অভয়াশ্রমে অনুমতি ছাড়া মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে 


চিলমারীতে সরকারী মৎস্য অভয়াশ্রমে অনুমতি ছাড়া মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে 


ঢাকা প্রেস
হাবিবুর রহমান,চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ


কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রমনা ইউনিয়নের চর পাত্রখাতা গ্রামে, সরকারী মৎস্য অভয়াশ্রম থেকে অনুমতি ছাড়া মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে।  


 



জানাযায় গতকাল, চর পাত্রখাতা গ্রামের মৃত্যু গফর আলী ব্যাপারীর পুত্র কাজিম উদ্দিন ও তাদের সরকারি লিজ নেওয়া পুকুরে অনুমতি ছাড়া মাছ ধরার (মারার) অভিযোগ উঠেছে, মাসুদ রানাসহ ১১জনের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে কাজিম উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যে জমি বা পুকুরের মাছ অনুমতি ছাড়া ধরেছে (মেরেছে) সে জমিটি আমি নিন্ম কোর্ট থেকে রায় পেয়েছি। পরে তারা সুপ্রিম কোর্টে কেচ করেন। তখন সুপ্রিম কোর্ট দু পক্ষকে ঐ পুকুরে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে তাদের লিজ নেওয়া সরকারি ভাবে ইউএনও এবং ডিসি অফিস থেকে বাতিল করা হয়েছে।

২০২২ সালে আমাদেরকে সরকারি ভাবে মৎস্য অভয়াশ্রম হিসাবে ঘোষণা দিয়ে দেন ইউএনও স্যার ও মৎস্য কর্মকর্তা। যার কারণে আমরা মৎস্য অভয়াশ্রমের নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে, স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন ব্যাক্তিগণের উপস্থিতিতে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের পোনা অবমুক্ত করি। উক্ত অভায়শ্রমের সার্বিক বিষয়ে দেখা শোনা করার জন্য ততকালীন ইউএনও স্যার একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি তৈরি করেন। সেই কমিটির আমি একজন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে, আমাকে সকল কিছু দেখা-শোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন থেকে আমি সবকিছু দেখা-শোনা করে আসিতেছি। এবং চলতি বছরে সরকার কর্তৃক এই মৎস্য অভায়শ্রমে আবারও মাছের পোনা ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট দু পক্ষকে ঐ পুকুরে মাছ ধরতে নিষেধ করেছেন। তারপরেও উক্ত বিবাদী মাসুদ রানা, দুলাল মিয়া, সিদ্দিক মিয়া, জসিম মিয়া, আতাউর রহমানসহ আরও অনেকে মৎস্য অভয়াশ্রম থেকে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে, বিভিন্ন কৌশলে মাছ ধরেন (মারেন) এবং আজকে তারা খ্যাতা জাল দিয়ে পুকুরের সব মাছ ধরে নিয়ে (মারি) যায়। তিনি আরও বলেন, মাছ ধরার (মারার) আশংখা থাকার কারণে, আমি আগে থানায় একটা অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু তারপরে ও কোন কাজ হল না, বিবাদীরা সব মাছ ধরে (মারি) নিয়ে গেল। থানায় কল দিয়েও কোন পুলিশ আসেনি।

তাদেরকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দিয়ে মাছ ধরার (মারার) জন্য নিষেধ করেছেন। কিন্তু তারা সেই চিঠি না বুঝে বলছে, আমাদের কে সুপ্রিম কোর্ট থেকে মাছ ধরার (মারার) জন্য অনুমতি দিয়েছেন বলে জানান তারা। এ বিষয়ে মাসুদ রানা, দুলাল মিয়া, সিদ্দিক মিয়া ও আতাউর রহমানের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এই জমি ২০০৭ সালে সরকার কে সকল প্রকার খাজনা পাতি দিয়ে বাবু শেখ ৯৯ বছরের জন্য সরকারের নিকট থেকে কবুলিয়াত দলিল করে নেয়। তখন থেকে তার অবর্তমানে তার ছেলে-মেয়েরা ভোগ দখল করে আসিতেছে। পার্শবর্তী কিছু ভূমিদস্যুরা  (বাদীরা) জোড় পূর্বক ভোগ দখল করতে চাচ্ছে। মাসুদ রানা আরও বলেন- এর আগেও আমার বাবা ১৫ বছরের জন্য ভূমিহীন লিজ নিয়ে ছিলেন। তারা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে, তাদের চ্যেলাদের প্রভাব দেখিয়ে অনেক সমস্যা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে এখনো মামলা-মোকোদ্দমা চলছে। এর আগেও আমরা ২/৩ বার রায় পেয়েছি এবং এই মাসে আরও একটি রায় পেয়েছি।

আরও বলেন, এর আগে ও কয়েকবার উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু, জেলা পরিষদ সদস্য জামিনুল হক ও বিপ্লব মেম্বার ভাইসহ দু পক্ষকে বসার কথা ছিল। এবং যাদের কাগজপত্র ঠিক থাকবে তাদেরকে পুকুরের মাছ মারতে দিবেন বলে ছিল, কিন্তু তারা (বাদী পক্ষ) আর আসেনি আবার ও ইউএনও অফিসে মিটিং এর জন্য যাই গিয়ে দেখি ইউএনও স্যার ও আমার বিরোধী দলের কেউ সেখানে উপস্থিত নাই। এরপরে তাদেরকে বলে আমি চলে আসি যে পরে কখন বসবেন আমাকে জানান। তখন থেকে বাদীপক্ষ আর কোন মিটিং করেনি, এবং আর কোন প্রকার মাছের পোনা ছেড়ে দেয়নি। গত বছরেও পুলিশ আসে এবং দু দলের লোককে মাঠের পাড়ে ডাকে, তখন দারোগা বলে মাসুদরা কোর্ডের অডার নিয়ে আসছে, এদের কে মাছ মারতে বাধা দেন ক্যে তখন বিপক্ষ দলের লোক ও কাজিমুদ্দিন পুলিশ কে বলেন আমরা আর ওখানে কেউ যাব না, তখন আমরা কোর্টের রায়ের উপর পুকুর সেকার জন্য মেশিন লাগাই ও মাছ মারি নিয়ে যাই। এবারে ও আমরা ঐ পুকুরে মাছ মারি (ধরি) নিয়ে যাই। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিসার বদরুজ্জামান রানা বলেন- ঐ সময়ে আমি ছিলাম না। কি ভাবে লিজ নিয়েছেন তা আমার জানা নাই, তবে আমি শুনেছি এখনো নাকি ঐ উপর মামলা-মোকদ্দমা চলছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা মডেল থানার অফিসার (ওসি) নাজমুস সাকিব বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম যার কারণে কিছু বলতে পারছিনা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) বলেন- বিষয়টি আমি শুনেছি এবং দু পক্ষ আমার নিকট এসেছিলেন, এটা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫