বাংলাদেশকে চুক্তির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:৫৫ অপরাহ্ণ   |   ৭৩ বার পঠিত
বাংলাদেশকে চুক্তির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি

বাংলাদেশকে চুক্তির আওতাধীন সম্পূর্ণ ১,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহে সম্মত হয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। আগামী মে মাসের পর থেকে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিদ্যুতের দামে ছাড় ও কর-সুবিধার অনুরোধ করা হলেও, আদানি তাতে সম্মতি দেয়নি। এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
 

বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধে বিলম্ব হওয়ায়, গত বছরের ৩১ আগস্ট আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। পরে, ১ নভেম্বর ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ করে দেয় তারা। শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায়, বাংলাদেশ নিজেই বিদ্যুৎ সরবরাহ কমানোর অনুরোধ করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
 

রয়টার্স জানিয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে যে, গ্রীষ্ম মৌসুমের আগে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) অনুরোধে আগামী সপ্তাহ থেকেই চুক্তির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহে সম্মত হয়েছে আদানি পাওয়ার। ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানি পাওয়ার কেন্দ্র থেকে কেবল বাংলাদেশেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
 

সূত্র আরও জানিয়েছে, আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে রাজি হলেও, ঢাকার অন্যান্য অনুরোধগুলো গ্রহণ করেনি। সম্প্রতি বিপিডিবির সঙ্গে আদানি পাওয়ার একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছে।
 

আদানি পাওয়ার সম্পর্কে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, "আদানি পাওয়ার কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়, এমনকি ১০ লাখ ডলারও নয়। বাংলাদেশ কেনো ছাড় পায়নি, সে বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট।"
 

এ বিষয়ে বিপিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, এর আগে রয়টার্সকে তিনি জানিয়েছিলেন, "আদানির সঙ্গে এখন বড় কোনো সমস্যা নেই এবং তারা পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে যাচ্ছে।" আদানি পাওয়ার থেকে বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধের পরিমাণ প্রতি মাসে ৮.৫ কোটি ডলার থেকে বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
 

সম্প্রতি আদানি পাওয়ার মুখপাত্র জানিয়েছেন, "ক্রেতার চাহিদার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের চাহিদা পরিবর্তিত হয়।"
 

গত ডিসেম্বর মাসে আদানি পাওয়ার মুখপাত্র দাবি করেছিলেন, বিপিডিবির কাছে তাদের প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ ৯০ কোটি ডলার। তবে বিপিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, এই অঙ্ক ৬৫ কোটি ডলার। মতভিন্নতার মূল কারণ হলো বিদ্যুতের শুল্ক হিসাবের পদ্ধতি।
 

এর আগে, বিপিডিবি আদানি পাওয়ারকে কয়েক লাখ ডলারের কর-সুবিধা পুনর্বহালের জন্য এবং ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ দামের ছাড় পুনর্বহালের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল।