আল্লাহর স্মরণ শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়
প্রকাশকালঃ
২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ ২১৩ বার পঠিত
আল্লাহর স্মরণ শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
"হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে বেশি পরিমাণে স্মরণ করো এবং সকাল-সন্ধ্যা তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করো।" (সূরা আলে ইমরান: ৪১)
শয়তান হলো আল্লাহর এক ঘৃণিত বান্দা। সে মানুষকে নানাভাবে বিপথে নিয়ে যেতে চায়। তার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হলো কুমন্ত্রণা। শয়তান মানুষের অন্তরের মধ্যে কুমন্ত্রণা ঢুকিয়ে তাকে পাপের দিকে ধাবিত করে।
আল্লাহর স্মরণ মানুষের অন্তরকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা করে। আল্লাহর স্মরণ মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে এবং তাকে আল্লাহর দিকে টেনে নিয়ে যায়। আল্লাহর স্মরণ মানুষকে পাপ থেকে বিরত রাখে এবং তাকে নেক আমল করার অনুপ্রেরণা দেয়।
আল্লাহর স্মরণ বিভিন্নভাবে করা যায়। যেমন:
নামায পড়া
কুরআন তিলাওয়াত করা
আল্লাহর গুণাবলী বর্ণনা করা
আল্লাহর কাছে দোয়া করা
আল্লাহর যিকির করা
আল্লাহর স্মরণ যত বেশি হবে, শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি হবে।
আল্লাহর স্মরণ শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয় তা নিম্নলিখিতভাবে ব্যাখ্যা করা যায়:
আল্লাহর স্মরণ মানুষের অন্তরকে শক্তিশালী করে। শয়তানের কুমন্ত্রণা মানুষের অন্তরের দুর্বলতার সুযোগ নেয়। আল্লাহর স্মরণ মানুষের অন্তরকে শক্তিশালী করে, ফলে শয়তানের কুমন্ত্রণা তার উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
আল্লাহর স্মরণ মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে। শয়তান অন্ধকারের প্রতীক। আল্লাহর স্মরণ মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে, ফলে শয়তানের কুমন্ত্রণা তার উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
আল্লাহর স্মরণ মানুষের অন্তরকে আল্লাহর দিকে টেনে নিয়ে যায়। শয়তান মানুষকে আল্লাহর থেকে দূরে সরিয়ে নিতে চায়। আল্লাহর স্মরণ মানুষের অন্তরকে আল্লাহর দিকে টেনে নিয়ে যায়, ফলে শয়তানের কুমন্ত্রণা তার উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
সুতরাং, আল্লাহর স্মরণ শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত সর্বদা আল্লাহর স্মরণ রাখা।