ঢাকা প্রেস নিউজ
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল এবং দেশের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা “পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না”, “হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না” বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। ঢাকার বাইরে বেশ কিছু জায়গায় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষও হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ (শুক্রবার) দেশব্যাপী ক্যাম্পাসে-ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান আন্দোলনকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কোনো কার্যক্রম কেউ করলে বরদাশত করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বিষয়টি আদালতের। আদালতের প্রতি সবার আস্থা রাখা উচিত। আদালতের আদেশ মেনে চলার জন্য বাধ্য-বাধকতা রয়েছে। সেটি সবার করা উচিত।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল।
২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।
পরবর্তীতে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটাপদ্ধতি বাতিল করে।
কিন্তু ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন।
এই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
এরপর চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামেন।
টানা কয়েক দিন আন্দোলনের পর গত ৯ জুলাই কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন।