ঢাকা প্রেস
সিরাজুল ইসলাম রতন,স্টাফ রিপোর্টার:-
''জন্ম- মৃত্যু নিবন্ধন আনবে দেশে সুশাসন" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশে ৬ অক্টোবর পালিত হয়েছে জাতীয় জম্ন মৃত্যু নিবন্ধন দিবস।
দিবসটি পালন উপলক্ষে ৬ অক্টোবর রোববার সকাল ১০ টায় ডিপিএইচই প্রকৌশল অধিদপ্তর, অডিটোরিয়াম কাকরাইল, ঢাকায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসে আলোচনা সভা সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল যাহিদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগ উন্নয়ন অনুবিভাগ অতিরিক্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমুখ ।
আলোচনা শেষে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে জাতীয় পর্যায়ে টানা তৃতীয়বারের ও পৌর প্রশাসক হিসেবে শ্রেষ্ঠ মনোনিত হওয়ায় সন্মানা স্মারক হাতে তুলে দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন তিনি তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, এই অর্জন পুরো সিরাজগঞ্জবাসীর। আগামীতে আরো পরিচ্ছন্ন ও উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণের প্রকৃত সেবা আমরা তাদের দৌরগোড়ায় সেবা পৌঁছিয়ে দিবো, আমি বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই সিরাজগঞ্জের সুযোগ্য সাবেক জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে। স্যারের দিকনির্দেশনায় এই সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’ প্রক্রিয়াটি জটিল ছিল। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। এখন এর বেশ সফলতাও পাচ্ছি। এ কাজে আমাকে সকলে আন্তরিকতার কোনো কমতি ছিল না। সিরাজগঞ্জ পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, গ্রামপুলিশ, উদ্যোক্তাগণের পরিশ্রমের ফলে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় পর্যায়ে এবারসহ পরপর মোট ৩ বার শ্রেষ্ঠ ডিডিএলজি 'র পুরস্কার গ্রহণ এবং দেশের ৩৩০ টি পৌরসভার মধ্যে ৫টিকে যার মধ্যে ১টি সিরাজগঞ্জের এবং ৪,৫০০ এর অধিক ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিকে যার মধ্যে ৪টি সিরাজগঞ্জ জেলার ইউনিয়ন দেশ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।