বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-
বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় শুরু হয় দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অংশ নেন আমনা বালুচ। এটি ছিল দুই দেশের মধ্যে ষষ্ঠ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক, যা প্রায় এক যুগ পর অনুষ্ঠিত হলো। এর আগে ২০১০ সালে ইসলামাবাদে সর্বশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
যদিও বৈঠকে নির্দিষ্ট কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়নি, তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক বোঝাপড়ার দিক থেকে এই বৈঠক ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা খাতেও সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর আমনা বালুচ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে নির্ধারিত রয়েছে।
দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর দুই দেশের মাঝে স্থবির হয়ে পড়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করতে এই বৈঠককে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহ দেখাচ্ছে, আর বাংলাদেশও পারস্পরিক স্বার্থে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ সালের পূর্ববর্তী সময়ের হিস্যা হিসেবে ৪.৫২ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। এই অর্থের একটি বড় অংশ ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ করা সহায়তার অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা মুক্তিযুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখা থেকে লাহোরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া পাকিস্তানে আটকে থাকা প্রাক্তন সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রের টাকাও এখনো ফেরত আসেনি। পরিকল্পনা কমিশনের তথ্যমতে, প্রায় ৯০ লাখ টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ড ও রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাসহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পাকিস্তানের কাছে আটকে রয়েছে।
সবমিলিয়ে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থের অর্ধেক ৪৩৫ কোটি রুপি এবং ব্যাংকিং খাত থেকে প্রায় ৬০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে বাংলাদেশের।
উল্লেখযোগ্যভাবে, চলতি মাসের শেষের দিকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকা সফর করবেন বলে জানা গেছে। এটি হবে ২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫