আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের বিভিন্নস্থানে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, গাছপালা, বৈদ্যুতিক লাইন, ট্রান্সফরমার ও খুটিসহ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসব একাকা। গাছ ও বৈদ্যুতিক খুটি ওপড়ে পড়ে রাস্তায় চলাচল বিঘ্ন ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত গাছ কেটে সরিয়ে ফেলার পর রাস্তায় চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঝড়ে রৌমারীর বিভিন্ন এলাকার অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- পুড়ান ঝগড়ারচর গ্রামের আখিনুর রহমান (১২), উজান ঝগড়ারচর গ্রামের সাদা মিয়া (৪৫), বাবলু মিয়া (৩৫), মহুজল আলম (৩৮), শাজাহান আলী (৩১), সফিয়া বেগম (২৯)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আখিনুর রহমানকে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সে স্থানীয় একটি হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে রৌমারীর কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতি ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা মডেল কলেজের ঘর ভেঙে পড়ে গেছে। ঝগড়ারচর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের বাড়ি, বাইজিদ মিয়ার বাড়ি, আলম মিয়ার বাড়ি, শহিদ মিয়ার বাড়ি, হরিণ ধরা গ্রামের শাজাহান আলীর বাড়ি, মিঠু মিয়ার বাড়ি, আব্দুস সালামের বাড়ি, কবিতন বেওয়ার বসতঘর, গুলটিগ্রামের ইমান আলী, উজান ঝগড়ারচর গ্রামের আব্দুল মতিনের বাড়ি, খেতারচর গ্রামের রফিকুল ইসলাম বাড়ি, আজিজুল হকের বাড়ি, শেখ ফরিদের বাড়ি, বালুরগ্রামের মহিদুল ইসলামের বাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম শালু বলেন, ঝড়ে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, ঝড়ে বেশ কয়েকটি বড় বড় গাছ রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় যানবাহনসহ মানুষের চলাচল বিঘ্ন ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস গাছগুলো কেটে সরিয়ে নিয়ে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করে।
এদিকে সকালে জেলার সদর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারীসহ কয়েকটি উপজেলায় ঝড় বয়ে যায়। এতেও বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।