পুলিশ—নীরব প্রহরীর নাম: মিরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পারভেজ আহমেদ

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-
"পুলিশ—এই শব্দটি যেন এক নীরব প্রহরীর প্রতিচ্ছবি। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন—কেন? কিভাবে? তবে বিস্তারিত বলতে গেলে কেউ কেউ হয়তো আমার উপর বিরক্ত হতে পারেন, এমনকি মনঃক্ষুণ্ণও। তাই যারা এমনটা অনুভব করতে পারেন, তাদের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,"—ঢাকা প্রেসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারের শুরুতে এমনটাই বললেন কুমিল্লার মিরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পারভেজ আহমেদ।
তিনি আরও বলেন, “নির্বিঘ্নে প্রশাসনিক অভিযান পরিচালনায় সামনে থাকে প্রশাসনের বিভিন্ন শাখা—উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ইউএনও বা এসি ল্যান্ড, নদী রক্ষায় মাঠে নামেন মৎস্য কর্মকর্তারা, আর অবৈধ যানবাহন সরাতে কাজ করেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। কিন্তু এসব অভিযানে সবচেয়ে দৃশ্যমান থাকেন কারা?—পুলিশ।”
সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ—দৃশ্যপটে থাকেন পুলিশ
যেমন রিকশা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় সিটি করপোরেশন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে শুধু পুলিশের ছবি। সমালোচনার ঝড় উঠলে শুরু হয় দায় এড়ানোর প্রতিযোগিতা—কেউ বলেন, “শুধু ভয় দেখাতে ভাঙা হয়েছে।”
পরদিন ক্ষতিগ্রস্ত রিকশাওয়ালাদের ডেকে দেওয়া হয় ক্ষতিপূরণ কিংবা চাকরির প্রতিশ্রুতি। প্রশাসক হয়ে ওঠেন ‘মহানায়ক’।
আর পুলিশ?
চুপচাপ সহ্য করে সব অপবাদ, হয়ে ওঠে জনরোষের একমাত্র লক্ষ্যবস্তু।
পুলিশ: প্রয়োজনের সময়ের সাথী, নায়ক নয়
এই দেশের পুলিশ যেন কোনো দায়িত্ববান বাহিনী নয়, বরং একটি ‘পাপের প্রাচীর’।
যার উপর সবাই আঘাত হানে, অথচ সে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে—অটল, অবিচল।
সে বিচার চায় না, সম্মানও নয়—চায় শুধু নিজের দায়িত্ব পালন করতে।
এভাবেই যুগের পর যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে চলেছে পুলিশ।
নায়ক নয়, বরং নেপথ্যের সেই প্রয়োজনের সাথী হয়ে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫