পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক রমজান আলি ধর্ষিতা নারীকে ঝালমুড়ি নুডলস ব্লাককফি স্প্রাইট ধর্ষণে ব্যবহৃত স্প্রে ব্যবহার করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট ডিওএইচ এচ আবাসিক এলাকায় নুর নেসা আক্তার কে ধর্ষণের আগে জোরপূর্বক ঝালমুড়ি ,চানাচুর ,নুডলস , ব্লাককফি , স্প্রাইটের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি নারী।
ঘটনার সময় সেক্স স্পেরে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতা রমজান আলির বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ফলে অতিরিক্ত ব্লাডিং ব্যাথা অনুভব করায় চিকিৎসা নিয়ে মামলা করতে বিলম্বের কারণ উল্লেখ করেছেন এজাহারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মেগাপ্রোজেক্ট থেকে দুর্নীতি করে সম্পদ অর্জন করেছেন। নুরনেসা ছাড়াও একাধিক নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে দুর্নীতির টাকার একটি বড় অংশ নারী লিপ্সায় ব্যয় করেছেন রমজান আলি প্রমানিক । তার বন্ধু আশরাফুল দুই লাখ টাকা খরচ করে মামলায় বাদ পড়ার গুঞ্জন চাউর হয়েছে। ধর্ষণের আলামত হিসেবে অশ্লীল ছবিও প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে যা পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে।
এজাহার সূত্রে জানা যায় , বিগত কয়েকমাসা আগে ফেসবুকে রমজান আলির সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয। নুরনেসা আক্তারের রাজধানী মুগদা মদিনাবাগে এম এম টাওয়ারে আট জনের নামে ৬ কাঠা জমির একটি প্লট রযেছে উক্ত জমিতে বাড়ি নির্মাণ করতে পঞ্জাশ লাখ টাকা ব্যাংক লোন প্রয়োজন। লোক টাকা টাকা তুলতে ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা বসার জন্য গত ৬ জুন বিকাল অনুমান ৫ টার দিকে ম্যাসেঞ্জারে ফোন দিয়ে অনন্যা সৃপার মার্কেটের সামনে আসতে বলেন । ওখানে কীভাবে যেতে হবে একটি গুগল লোকেশন মানবিত্র নুরনেসা আক্তাররে হোয়াটঅ্যাপে পাঠিয়ে দেন রমজান আলি প্রমানিক। পরে রিকশায় রমজান আলির বন্ধু আশরাফুল ইসলাম রেজোয়ানের ক্যান্টনমেন্ট ডিএইচ এস ৪৯২/১ লেন-৯ লিফট -৩ সামনের রুমের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ব্যাংকের কোনো লোক থাকায় তার সন্দেহ তৈরি হয়। কিছু বুঝে উঠার আগে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে ভঁয়ভীতি দেধান। তাকে ঝাল মুড়ি ,নুডলস ,ব্লাককফি ,স্পাইট খেতে দেন। সে ভয়ে খেতে বার্ধ হন। ব্লাককফির সাথে নেশা জাতীয় কিছু মিশিয়ে পান করালে অচেতন হয়ে পড়েন। তবে অচেতন হলে বিবস্র করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। একাধিকবার ধষণে তার অতিরক্তি রক্তক্ষরণ হলে মারাত্মক ব্যথা অনুভব হয়। জ্ঞান ফিরলে বাসা থেকে বেরহয়ে বাসায় খবর দিলে তার আত্মীয়রা উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রথমিক চিকিৎসা করান। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হলে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। ক্যান্টনমেন্ট থানার মামলা নম্বর ১১ তারিখ ২৯-৫-২০২৪ ধারা ৯/১ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০
উল্লেখ্য যে বিবস্র করে ধর্ষণের সকল আলামত ও রুমের ভিডিও ফুটেজ কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ বা সেক্স টয়'র এবং ব্যবহৃত স্পেরে প্রতিবেদকের হাতে রযেছে। যথাযত সময় প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয় বাদি নুর নেসা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন , ধর্ষণের পরে আমি দীর্ঘ সময় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকি । আমার জ্ঞান ফিরলে বাসা থেকে বের হয়ে বাসায় খবর দেই। আমার খালাতো ভাই আমাকে উদ্ধার করে বাসায় এনে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করেন। আমি পরে থানায় মামলা করি। মামলার স্বাকী আলতাফ হোসেন সাংবাদিকেদের বলেন , নুর নেসা লোন তুলতে রমজান আলির কাছে গেছে আমরা জানতাম কিন্তু সে জোর করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করবে এটা অনাকাঙ্খিত। আমরা এ অপরাধের জন্য সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই্। মামলার অন্য স্বাক্ষী হাবিব একই বক্তব্যে দিয়ে বলেন ,রমজান একজন নরপিচাশ তার শাস্তি হওয়া উচিত।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫