|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১২ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:১২ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৬:৩৮ অপরাহ্ণ

হাদিসে ভিক্ষাকে জ্বলন্ত অঙ্গার বলার কারণ


হাদিসে ভিক্ষাকে জ্বলন্ত অঙ্গার বলার কারণ


হাদিসে ভিক্ষাকে "জ্বলন্ত অঙ্গার" বলার কারণ হলো, ভিক্ষা মানুষের আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে এবং তাকে পরনির্ভরশীল করে তোলে। ভিক্ষা ভিক্ষাকারীকে অলসতা ও হতাশার দিকে ঠেলে দিতে পারে।

ভিক্ষা মানুষের আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে। ভিক্ষাকারীকে মনে হয় যে সে অন্যের উপর নির্ভরশীল। এতে তার আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং সে নিজেকে অপমানিত বোধ করে। ভিক্ষাকারীর মধ্যে একটা নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। সে মনে করে যে সে একজন ব্যর্থ মানুষ।

ভিক্ষা মানুষকে পরনির্ভরশীল করে তোলে। ভিক্ষাকারী কাজ করার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলে এবং সে সবসময় অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। ভিক্ষাকারীর মধ্যে একটা অলসতা তৈরি হয়। সে মনে করে যে অন্যরা তাকে সাহায্য করবেই। তাই সে কাজ করার চেষ্টা করে না।

ভিক্ষা অলসতা ও হতাশার দিকে ঠেলে দিতে পারে। ভিক্ষাকারী কাজ না করে অন্যের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে থাকে। এতে সে অলস হয়ে পড়ে এবং তার মধ্যে হতাশার ভাব সৃষ্টি হয়। ভিক্ষাকারী মনে করে যে সে কখনও স্বাবলম্বী হতে পারবে না।

তবে কিছু ক্ষেত্রে ভিক্ষা করা জায়েজ। যেমন, যদি কেউ এমন অবস্থায় পড়ে যে সে নিজের কাজ করে নিজের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করতে পারে না, তাহলে সে ভিক্ষা করতে পারে। এছাড়াও, যদি কেউ এমন অবস্থায় পড়ে যে সে নিজের চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন হয়, তাহলে সে ভিক্ষা করতে পারে।

ভিক্ষা করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা যারা সচ্ছল, তাদের উচিত ভিক্ষাকারীদের সাহায্য করার জন্য তাদের কাজে লাগানো। এতে তারা স্বাবলম্বী হতে পারবে এবং তাদের আত্মমর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকবে।

হাদিসে ভিক্ষাকে "জ্বলন্ত অঙ্গার" বলার মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা.) ভিক্ষা করা থেকে বিরত থাকার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি ভিক্ষাকারীদেরকে পরনির্ভরশীল না হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫