ঋণগ্রস্ত থাকলে কোরবানি দেওয়া যাবে কি?

প্রকাশকালঃ ১০ জুন ২০২৪ ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ ১৬০ বার পঠিত
ঋণগ্রস্ত থাকলে কোরবানি দেওয়া যাবে কি?

জাকাত এবং কুরবানির জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা জরুরি। তবে জাকাত আদায়ের জন্য সম্পদ পুরো এক বছর থাকা আবশ্যক। তবে কুরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে বছর অতিক্রম করা শর্ত নয়। বরং জিলহজের ১০ তারিখ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের মধ্যে যেকোনো সময় নিসাবের মালিক হলে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব হবে। বছর অতিক্রম হয়েছে কি হয়নি, তা দেখা হবে না। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৭/৫০৬)

 

নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি কুরবানির দিনগুলোতে সাময়িক ঋণগ্রস্ত থাকেন, যা পরিশোধ করে দিলে তার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে না, তাহলে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না। আর যদি ঋণ আদায় করে দিলেও নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে তাহলে তার ‍ওপর কুরবানি ওয়াজিব হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯২)


কুরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য পণ্য হলো: টাকা-পয়সা, স্বর্ণ-রুপা, অলংকার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না- এমন জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি-গাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাব। কুরবানির নেসাবের পরিমাণ হলো : স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৮৭ দশমিক ৪৫ গ্রাম) ভরি, রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ (৬১২ দশমিক ১৫ গ্রাম) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো- এর মূল্য সাড়ে ৫২ ভরি রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হতে হবে।

 

স্বর্ণ বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি আলাদাভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব। কত টাকা থাকলে এ বছর কুরবানি ওয়াজিব হবে- তা জানতে হলে আগে রুপার মূল্য জেনে নিতে হবে।


কারও কাছে যদি এত সম্পদ থাকে যে, ঋণ আদায় করার পরও নেসাব পরিমাণ সম্পদ প্রয়োজন অতিরিক্ত অবশিষ্ট থাকে, তাহলে তার উপর কুরবানি আবশ্যক হবে। আর যদি এতোটুকু সম্পদ না থাকে, তাহলে কুরবানি আবশ্যক হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬)