শীতে শরীর উষ্ণ রাখতে উপকারী কিছু খাবার

প্রকাশকালঃ ১১ নভেম্বর ২০২৪ ০২:৫৩ অপরাহ্ণ ৩৩০ বার পঠিত
শীতে শরীর উষ্ণ রাখতে উপকারী কিছু খাবার

ঢাকা প্রেস,লাইফস্টাইল ডেস্ক:-
 

শীতকাল অনেকের প্রিয় ঋতু। যদিও শহরে এখনও পুরোপুরি শীতের আমেজ আসেনি, তবে গ্রামাঞ্চলে ভোরের দিকে ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে। শীতকালে শরীর গরম রাখতে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়া বিশেষভাবে উপকারী। আসুন জেনে নিই এই ঋতুতে শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে।
 

গবেষণায় দেখা গেছে, শীতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খাঁটি ঘি। রুটি বা ভাতের সঙ্গে অল্প পরিমাণ ঘি মিশিয়ে খেলে শরীর ভেতর থেকে গরম থাকে। তবে যাঁদের ওবেসিটি বা ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদের ঘি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
 

দেশি ঘি: গরম ভাত, ডাল বা রুটির সঙ্গে সামান্য দেশি ঘি মিশিয়ে খেলে শরীর উষ্ণ থাকে এবং পিত্তের সমস্যা কমাতেও সহায়তা করে।
 


শাকসবজি ও স্যুপ: শীতে শালগম, বীট, রাঙাআলু ও গাজরের মতো সবজির স্যুপ কিংবা রোস্ট করে খাওয়া শরীরকে উষ্ণ রাখতে কার্যকর।

হলুদ: তরকারিতে হলুদ ব্যবহার বা রাতে ঘুমানোর আগে হলুদ মেশানো দুধ খেলে তা শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখতে সহায়তা করে।

 


আদা ও তুলসির চা: কফির বদলে আদা ও তুলসি দিয়ে তৈরি চা পান করলে শরীরে আরাম ও উষ্ণতা আসে।

খেজুর ও শুকনো ফল: দিনে কয়েকটি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। এপ্রিকট, শুকনো ডুমুর, বাদাম ও কাজুর মতো শুকনো ফলও শরীরকে গরম রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
 

 

বাদাম: কাঠবাদাম, কাজুবাদাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

ডিম: ডিমের প্রোটিন ও ভিটামিন শরীরকে উষ্ণ রাখতে সহায়ক। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম যোগ করা যায়।

পেঁয়াজ: চিনে শীতকালে পেঁয়াজকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেঁয়াজ রাখলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা হয়।
 

 

আদা: আদা শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়, সর্দি-কাশি কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গরম জলে আদা মিশিয়ে বা আদা চা পান করাও উপকারী।

সর্ষে ও সর্ষের তেল: তরকারিতে সর্ষে ব্যবহার কিংবা কাঁচা সর্ষে বাটা খাওয়া শরীর উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে। অনেকেই শরীরে সর্ষের তেল মেখে পায়ের তালু ও হাতের তালুতে মালিশ করেন।

মধু ও তুলসি: শীতকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে ঠাণ্ডা থেকে সুরক্ষা দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
 

 

গুড়: গুড় হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং ঠাণ্ডায় শরীরকে গরম রাখতে সহায়ক। খাবার পর অল্প পরিমাণে গুড় খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী।

কলা: ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি সমৃদ্ধ কলা থাইরয়েড ও অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিকে সক্রিয় রাখে, যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
 

 

মরিচ ও জিরা: মরিচ খেলে তাৎক্ষণিক গরম অনুভব হলেও জিরা ধীরে ধীরে শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে সহায়ক।
 

 

পানি: শীতে পিপাসা কম পেলেও শরীরে পর্যাপ্ত পানি গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। পানি কম খেলে ইউরিন ইনফেকশন ও ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি থাকে। ত্বক ও চুল সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান জরুরি।

শীতকালে এই খাবারগুলো খেলে শরীরকে উষ্ণ রাখা ও সুস্থ থাকা সহজ হবে।