“ঠান্ডা এইবার তুলনামূলক কম, গতকাল সন্ধ্যার পর আমি একটা পাতলা সোয়েটার পরেই বাজারে গিয়েছি,” বলছিলেন দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বাসিন্দা আবু বারেক লিমন।
সাধারণত বাংলাদেশে উত্তরবঙ্গের এই এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে। আর শীতের প্রকোপও ডিসেম্বর মাস থেকে বাড়তে শুরু করে। কিন্তু এবার ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেল এখনো সেভাবে শীতের দেখা নেই।
আজকেও যেমন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১১.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে সেটাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বলছেন আবহাওয়াবিদরা।
একই অবস্থা উত্তরের অন্য জেলাগুলোতেও। অথচ এ মাসের শুরুতে বৃষ্টির পর খানিকটা শীত নামতে শুরু করেছিল। কিন্তু অনেকেই শীতের ভারী কাপড় বের করেও সেগুলো আবার ঢুকিয়ে রেখে দিয়েছেন।
আগামী সপ্তাহেও এর খুব বেশি পরিবর্তন দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা। শৈত্যপ্রবাহের এখনি সম্ভাবনা নেই তবে কুয়াশার আধিক্য বাড়বে এবং তাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এল নিনোর প্রভাব
এবার এই ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রয়েছে, ফলে শীতও তেমন জাঁকিয়ে বসতে পারেনি। এখনো শৈত্যপ্রবাহ বা খুব একটা ঘন কুয়াশার দেখা নেই।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এস এম কামরুল হাসান অবশ্য বলছেন এটা তাদের প্রত্যাশিতই ছিল।
“অবশ্যই এখন তাপমাত্রা যেটা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি রয়েছে, তবে এটা অপ্রত্যাশিত নয়, আমাদের ফোরামে আমরা আগেই আলোচনা করেছি যে এবার ওয়ার্ম উইন্টার হবে।”