আশুগঞ্জ, ১২ জুলাই ২০২৫ — ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ এলাকায় খানাখন্দ মেরামতের তড়িৎ উদ্যোগে যানজট পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গতকাল শনিবার দিনভর এ পথে বড় ধরনের যানজট দেখা যায়নি, যদিও আগের দিন শুক্রবার প্রায় ২৫ কিলোমিটারজুড়ে ভয়াবহ যানজট তৈরি হয়েছিল।
শুক্রবার বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের গাড়িকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পার হতে লেগেছিল দুই ঘণ্টার বেশি সময়। সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগও ছিল সীমাহীন।
শুক্রবার বিকেল থেকেই সেনাবাহিনী ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথভাবে সড়কে কাজ শুরু করে। গতকালও তারা মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ সংস্কারে ব্যস্ত ছিলেন। সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মামুন রহমান জানান, শুক্রবার রাত থেকে যানজট অনেকটা কমে এসেছে। যেসব স্থানে যানজট দেখা যাচ্ছে, সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেনাসদস্যরাও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে।
আশুগঞ্জ-আখাউড়া মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের প্যাকেজ-১-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ জানান, শুক্র ও শনিবার আশুগঞ্জ-সরাইল অংশের বেশিরভাগ খানাখন্দ মেরামত করা হয়েছে। বৃষ্টি না থাকায় কাজের গতি বেড়েছে এবং যানজটও অনেকটা কমেছে। তবে কোথাও কোথাও সড়কের নিচে শক্ত বেইজ না থাকায় মেরামত টেকসই হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
প্রকল্প-সংশ্লিষ্টদের মতে, আশুগঞ্জ-আখাউড়া মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। ভারত সরকারের ঋণ সহায়তায় ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০.৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে।
তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা হুমকির কথা বলে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এলাকা ছেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের কাজ স্থগিত হয়ে যায়। প্রায় তিন মাস পর তারা ফিরলেও কাজের গতি এখনও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ফেরেনি।