ঢাকা প্রেস নিউজ
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি জানিয়েছেন, যারা দেশের অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চাচ্ছে তাদের ডেভিল হান্ট অপারেশনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হবে। এই অভিযানে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে এবং সেনাবাহিনী তাদের সহায়তা করবে। পুলিশ বাহিনীর বর্তমান অবস্থার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যে সমস্ত দেশে বিপ্লব হয়েছে, সেখানে পরাজিত শক্তিকে রাখা হয়নি। তবে, আমাদের সরকার অতটা অমানবিক নয় এবং আমরা পুলিশ বাহিনীকে সংস্কার করেছি।
রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা চলছে, যা স্বাভাবিক করতে এই অপারেশন চালানো হবে। "ডেভিল হান্ট" অপারেশনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রতিটি অপারেশনের একটি কোড নেম থাকে, যা অপারেশনকে ফোকাস করার জন্য নির্ধারিত হয়।
অপারেশন পরিচালনার ক্ষমতা কতটুকু, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের যে ক্ষমতা রয়েছে, সেখান থেকেই অপারেশন পরিচালিত হবে। ৫ আগস্টের পর যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তারা ডেভিল হান্টের আওতায় আসবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ যখন গ্রেপ্তার করবে, তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। অপারেশনে কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা গতকাল (শনিবার) থেকেই কাজ শুরু করেছে এবং এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। এই অপারেশন যতদিন প্রয়োজন, ততদিন চলবে।
তিনি আরও জানান, ছয় মাস আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশের অনেক সদস্য মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল এবং অনেক থানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই কারণে সেনাবাহিনীকে সহায়তা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’সহ বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
নাসিমুল গনি বলেন, অপারেশনটি যৌথভাবে এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত হবে। দেশের স্থিতিশীলতা ভেঙে দেয়ার চেষ্টা মোকাবেলা করতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুরনো পদ্ধতির চেয়ে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করতে আলোচনা চলছে। তিনি জানান, পুলিশের কিছু সদস্য অতিউৎসাহের কারণে ভুল করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশের সদস্যদের যেন সঠিকভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করা হয় এবং দেশের আইন-ব্যবস্থা যেন কোনো দিনও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার এবং পরিবেশ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হবে, যেখানে ঢাকা এবং গাজীপুরের ১৫০ জন কর্মকর্তা অংশ নেবেন।