কুমিল্লায় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

প্রকাশকালঃ ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ ১০৭ বার পঠিত
কুমিল্লায় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

ঢাকা প্রেস

আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া,কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ-

 

‘এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন” এই প্রতিপাদ্যে সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লায় আজ থেকে স্কুল পর্যায়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কিশোরীদের এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় ধর্মপুর রেলও‌য়ে পাব‌লিক হাই স্কুলে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার।

 

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নাছিমা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার, সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের পরিচালক প্রফেসর ডা: মোঃ জহিরুল আলম, কুমেকের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ এম এম হাসান, ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ এস এম তৌহিদুর রহমান, গোমতী হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মজিবুর রহমান, সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হক, রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আমিনুল ইসলাম, সমন্বয়ক রুবেল হোসাইন প্রমুখ।

 

সভায় বক্তারা বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। এ টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এক ডোজ এইচপিভি টিকা প্রদানের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

 

এদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর আনন্দ ধারা বিদ্যাপীঠ এ টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ছামছুল আলম। 

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মোঃ সারোয়ার আকবর, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্পাপ্ত) আবু সায়েম ভূইয়া, কুসিক মেডিকেল অফিসার ডা. চন্দনা রানী দেবনাথ, আনন্দধারা বিদ্যাপীঠ এর উপদেষ্টা মো: কামাল উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক আফরোজা হাসনাত, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো: জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

 

প্রসঙ্গত, কুমিল্লায় জরায়ুমুখে ক্যান্সার প্রতিরোধে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ জেলার ১৭টি উপজেলায় তিন লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৯ জনকে সরকারের উদ্যোগে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুলগামী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৩৪০জন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ হাজার ৩২৭জন কিশোরীকে বিনামূল্যে এ টিকা দেওয়া হবে। পাঁচ হাজার ২১৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নয় হাজার ৯৪২ টি কেন্দ্রে এ টিকা দেওয়া হবে।