৯ বছর শিক্ষকতা করে জানলেন, তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নন
প্রকাশকালঃ
২১ আগu ২০২৪ ০৯:১৫ অপরাহ্ণ ৫৩১ বার পঠিত
ঢাকা প্রেস আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে শূন্য পদ দেখিয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের নামে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ নয় বছর চাকরি করার পর ভুক্তভোগী জানতে পারেন, আগে থেকেই তার পদে অন্য একজন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া ছিল। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের নাম শামীমা আক্তার।
তিনি উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের শামসপাড়া এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সাজ্জাদুর রহমান। তিনি চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শামীমা আক্তার ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) পদে যোগদান করেন।
নিয়োগ নেওয়ার সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান পর্যায়ক্রমে তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সেই সময়ে তিন মাসের মধ্যে নিজ দায়িত্বে এমপিওভুক্ত করে দিবেন বলেও আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি। টাকা নেওয়া শেষ হলে এমপিওর জন্য আবেদনের বিষয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন তিনি।
ভুক্তভোগী শামীমা আক্তার জানান, ‘চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান নিয়োগের নামে কয়েক ধাপে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
নিয়োগের পর থেকে এমপিওভুক্তির চাপ দিলে টালবাহানা শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ ৯ বছর পর এমপিওভুক্তির জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্বরণাপন্ন হলে তিনি ফাইলে স্বাক্ষর করতে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। অতি কষ্টে পাঁচ হাজার টাকা জোগার করে ফাইলে স্বাক্ষর করিয়ে চলতি বছরের জুন মাসে অনলাইনে বিল প্রাপ্তির জন্য আবেদন করি। আবেদনটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালকের দপ্তর থেকে পরিত্যক্ত হয়। পরে জানতে পারি, আমার পদে (সহকারী শিক্ষক-সমাজ বিজ্ঞান) এমপিওভুক্ত শিক্ষক থাকায় আমি ওই পদের জন্য অতিরিক্ত শিক্ষক।
’
ভুক্তভোগী শামীমাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান জানান, উনি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। তাকে পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তাহের আলী জানান, স্কুলটি নিম্নমাধ্যমিক ছিল এখন মাধ্যমিক হয়েছে। ওই শিক্ষিকার বিল হওয়ার কথা, তাই এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।