ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও, বন্যার দুর্ভোগ এখনও চরমে। ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলেও, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার উপরে। ফলে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রায় দুই লাখ মানুষ ১২ দিন ধরে পানিবন্দি। তাদের মধ্যে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গবাদিপশুর খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
বন্যার্ত মানুষের বর্ণনা অনুযায়ী, অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে আবার ঘরের মাচান উঁচু করে বা নৌকায় বসবাস করছেন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জেলার নদ-নদীর পানি আরও কমে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি পাবে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেছেন, বন্যার্তদের জন্য প্রায় ৫শ মেট্রিক টন চাল, ৩৫ লাখ টাকা ও ২৩ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
তবে, বন্যার্ত মানুষের দাবি, সরকারি সহায়তা আরও দ্রুত ও প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ানো উচিত।