ঢাকা প্রেস নিউজ
২০১৩ সালে, কুমিল্লার রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি অন্ধকার অধ্যায় যোগ হয়েছিল। লাকসাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম হিরু এবং লাকসাম পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হুমায়ূন কবীর পারভেজকে র্যাব সদস্যরা তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। সেই থেকে তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি।
এক অন্ধকার রাতে
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর রাতে, র্যাব সদস্যরা হিরু ও পারভেজকে একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের পরিবার ও স্থানীয়রা দাবি করেন, তাদের আর কখনো ফিরে আসেনি। এই ঘটনায় কুমিল্লা সিনিওর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়। মামলায় র্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত প্রধান কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত ও অভিযোগ
মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তরিত হলেও, তদন্তের পর সিআইডি একটি মনগড়া ও মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে, যেখানে দাবি করা হয় যে, হিরু ও পারভেজ স্বেচ্ছায় ‘আত্মগোপনে’ থাকতে পারেন। এই প্রতিবেদন বাদীর নারাজি সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে, মামলাটি পুলিশের লাকসাম সার্কেলের একজন এএসপির কাছে স্থানান্তরিত হয়।
পরিবারের যন্ত্রণা
হিরু ও পারভেজের পরিবারের সদস্যরা এখনও তাদের ফিরে পাওয়ার আশায় আঁকড়ে রয়েছেন। তারা দাবি করেন যে, সরকার পরিবর্তনের পর অনেকেই ফিরে এসেছেন, কিন্তু তাদের প্রিয়জনদের কোনো খোঁজ মেলেনি। তারা নতুন সরকারের কাছে ন্যায় বিচারের আশা রাখছেন।