|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:০৪ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:১৯ অপরাহ্ণ

রাজধানী হাজারীবাগে নকশা ছাড়া সাততলা বাড়ি রাজউক জানেনা


রাজধানী হাজারীবাগে নকশা ছাড়া সাততলা বাড়ি রাজউক জানেনা


ঢাকা প্রেস
মোস্তাফিজুর রহমান,বিশেষ প্রতিনিধি:-



রাজধানী হাজারীবাগে নকশা ছাড়া ৭ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ হাজী মফিজ মিয়ার বিরুদ্ধে।


 



২০১৯ সালের প্রথম দিকে নিজস্ব জমিতে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে সাততলার ছাদ ঢালাই শেষ করলেও রাজউক জানেন না। দেড়কাঠা জমির ওপর নির্মিত ভবনটি পরিদর্শনের দায়িত্বে ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জোন-৫ এর ইমারত পরিদর্শক বিধান চন্দ্র কর্মকার। নকশা বিহীন ভবন নির্মাণ করলেও নেই কোনো সেফটিনেস। এ ভবন মালিক মফিজ বাড়ির কোনো বৈধ নকশা নেই। যে কোনো স্বল্প মাত্রায় ভূমিকম্প হলে ভবন ধ্বসে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। পাশের বাড়ির উপর ঘেঁষা হামলে পড়ার মতো অবস্থা।সাম্প্রতিক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইমারত নির্মাণ আইনে আমুল পরিবর্তন আনলেও হাজারীবাগে চলছে নকশা বিহীন ভবন নির্মাণের মহোৎসব। রাজউক এর তদারকির কোনো চিত্র চোখে পড়ার মত নয়। রাজউকের অসাধু কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে অবৈধ নকশা ছাড়া বাড়ির সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ উদাসীনতার কারণে রাষ্টীয় এ আস্থাশীল প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।


জানা গেছে হাজারীবাগ সড়কে বোরহানপুর মসজিদের পাশে ৩ নম্বর সড়কে ৩৩ নম্বর বাড়ির নির্মাণ কাজ  শেষ করে বসবাস করছেন। ওই বাড়িটি নকশা ছাড়া সাততলার কাজ শেষ হলেও  কোনো সেফটিনেস ব্যবহার করেন নি। ভবন নির্মাণ আইনে ৪০ ভাগ জমি ছেড়ে ভবন মির্মাণের নিয়ম থাকলেও মানছেন না ভবন মালিক হাজী মফিজ। চারফিট সড়কের ভেতর সাততলা ভবন নির্মাণ করে দুই ফিট ভূমি অধিগ্রহণ করছেন।সিড়ির স্পেস কমিয়ে রুম প্রশস্থ করেছেন এবং লিফটের স্পেস রুমের সাথে মিশিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করে দুর্ঘটনার মাত্রা বাড়িয়েছন। ইলেকট্রিক্যাল ডিজাইন নিজের খেয়াল খুশি মত করে আগুনের ভয়াবহতা বাড়িয়ে তুলছেন। ভবিষ্যতে বসবাসকারীদের জন্য আগুনের ভয়াবহতা ঘটতে পারে অনাখাঙ্খিত ঘটনা। আগুনের ভয়াবহতা রোধে পুরনো ভবনের নকশা , ইরেকট্রিক্যাল ডিজাইন ও অন্যান্য কাগজপত্র রাজউকে জমা দেওয়ার বিধান চালু করলেও তা অমান্য করে উল্টো নকশা বিহীন ভবন নির্মাণে মেতে উঠেছে রাজধানীর কতিপয় অসাধু ভবন মালিক। যা নগর বাসীর জন্য অশ্বনি সংকেত।


ভবন মালিক মফিজের  কাছে নকশার বিষয় জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বলেন , আপনাদের নকশার প্রয়োজন কি? আমি রাজউক’কে দেখাবো আপনাদের প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন , আমি রাজউকের সাথে আলাপ হয়েছে তারা অচিরেই ছাড়পত্র দেবে। নির্মাণাধীন ভবনের ছাড়পত্র কোন আইনে দেবে এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান ভবন মালিক মফিজ।আমার বাড়িতে নিয়মিত রাজউকের ইমারত পরিদর্শক বিধান চন্দ্র আসে । আমার বাড়ির আদ্যোপান্ত তিনি জানেন। আমার সাথে ভালো সম্পর্ক। আপনারা তার কাছ থেকে জেনে নিন। তবে একাধিক ফোন দিয়ে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন ভবন মালিক মফিজ। পরে বিধানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন ভবন মালিক মফিজ। নকশা ছাড়া ।


এসব অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে ইমারত পরিদর্শক বিধান চন্দ্র সাংবাদিক'কে বলেন , ভাই আমি ওই ভবন নির্মাণের সময় দুইবার গিয়েছিলাম। আমাকে এখন অন্য সাইটে বদলি করেছেন্ এখন সোহাগ দায়িত্বে আছেন আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন। আপনি নকশা নাই তারপরেও নোটিশ দিয়ে অফিস কে অবহিত করলেন না কেন? এমন প্রশ্নের কোনো সদোত্তর না দিয়ে একই বক্তব্য সোহাগের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।


এসব বিষয় জানতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক জোন- ৫ এর পরিচালক হামিদুল ইসলাম এর মুঠো ফোনে কল দিলেও ফোনকল গ্রহণ করেননি এবং হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠালেও কোনো জবাব দেননি। পরে ফোন কল ব্যাক করে বলেন. ভাই আগামী সপ্তাহে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেব।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫