|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৫৬ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৯ জুন ২০২৩ ০১:৪৩ অপরাহ্ণ

সাড়ে ৩ কোটি টাকা আছে আরাফাতের নগদ ও ব্যাংকে


সাড়ে ৩ কোটি টাকা আছে আরাফাতের নগদ ও ব্যাংকে


ঢাকা–১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের (মোহাম্মদ এ আরাফাত) নগদ টাকা ও ব্যাংক জমা মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আছে। তিনি বছরে আয় করেন প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এই আয় আসে তাঁর পেশা ও ব্যাংক সুদ থেকে (৯২ হাজার ৪৭৭ টাকা)। তাঁর নামে ফৌজদারি কোনো মামলা নেই। আরাফাত ও তাঁর স্ত্রীর স্বর্ণ, পাথরনির্মিত অলংকার বা অন্য কোনো মূল্যবান অলংকার নেই। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী।

৯ জুন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মোহাম্মদ আরাফাত। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য। গতকাল রোববার তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।

হলফনামায় বলা হয়, আরাফাতের নিজ নামে নগদ ও ব্যাংকে জমা আছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬০৬ টাকা। আর তাঁর স্ত্রীর আছে ৮৩ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪৯ টাকা।


বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির শেয়ারে আরাফাতের বিনিয়োগ রয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার ৬৫০ টাকা। এ ছাড়া ডাকঘর, সঞ্চয়ী সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে আরাফাতের বিনিয়োগ রয়েছে ৩০ লাখ টাকা। তাঁর ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রী ও আসবাবের আর্থিক মূল্য ৩ লাখ টাকা করে।

আরাফাত স্ট্র্যাটেজিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (এসএফআইএল) থেকে নিজ নামে ১ কোটি ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৬ টাকা গৃহঋণ নিয়েছেন। তাঁর স্ত্রীর নামে অপরিশোধিত শেয়ারের অর্থের পরিমাণ ৮ লাখ টাকা। আরাফাত তাঁর হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর কৃষি ও অকৃষিজমি নেই। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিএ।

আরাফাত এত দিন আওয়ামী লীগের হয়ে নানা বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে যুক্ত ছিলেন। টক শোতে আওয়ামী লীগ ও সরকারের পক্ষে কথা বলেছেন। গত ডিসেম্বরে প্রথমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য হন তিনি। এবার সংসদ সদস্য হওয়ার দৌড়ে তিনি শামিল হলেন।


জাতীয় পার্টির প্রার্থীর ব্যাংকে জমা আছে ৫৬ লাখ টাকা
জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমানের নগদ আছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে আছে ৫০ হাজার টাকা। আনিসুর রহমানের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯৮ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে আছে ৭০ হাজার টাকা।

আনিসুর রহমানের কৃষি থেকে বছরে কোনো আয় নেই। তিনি বাড়ি ও দোকানভাড়া থেকে বছরে পান ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে তাঁর বছরে আয় ১২ লাখ টাকা। শেয়ারবাজারে তাঁর বিনিয়োগ নেই। তবে অবসর ভাতা হিসেবে বছরে তিনি ১ লাখ ২০ হাজার ১৮৩ টাকা পান। তাঁর স্ত্রীর কাছে থাকা সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান অলংকারের আর্থিক মূল্য আড়াই লাখ টাকা। আনিসুর রহমানের কাছে থাকা আসবাবের মূল্য চার লাখ এবং ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রীর দাম তিন লাখ টাকা।

কৃষিজমি না থাকলেও তাঁর অকৃষিজমির আর্থিক মূল্য ৪১ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ টাকা। বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের আর্থিক মূল্য ২৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। ডেলটা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড বা ডিবিএইচ থেকে তিনি ১৭ লাখ টাকার ঋণ নিয়েছেন। আনিসুর রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি। আদালতে তাঁর নামে তিনটি মামলা চলমান।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫