চারঘাট-বাঘা সীমান্ত মাদকের রমরমা বানিজ্য, ধরা ছোয়ার বাইরে গডফাদাররা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ১২:২৬ অপরাহ্ণ   |   ১৯৪ বার পঠিত
চারঘাট-বাঘা সীমান্ত মাদকের রমরমা বানিজ্য, ধরা ছোয়ার বাইরে গডফাদাররা

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি:-



রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা সীমান্ত এলাকা হয়ে উঠেছে মাদকের স্বর্গরাজ্য। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদকের গডফাদাররা। রাতের রাজা হয়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুলিশের তালিকা ভুক্ত একাধিক মাদক মামলার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের এসব সদস্যরা। প্রকাশের এমন কর্মযজ্ঞ চললেও নেই প্রশাসনের নজরদারী। বিভিন্ন গ্রামে অনেকটা প্রকাশ্যেই চলছে মাদকের কেনা বেচা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন সীমান্তে বসবাসকারী অভিভাবক মহল। এসব অবৈধ মাদক কারবারীদের ধরতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারীর দাবি স্থানীয়দের। তবে প্রশাসনের দাবি মাদকবিরোধী অভিযানে সর্বস্তরের জনগনকে এগিয়ে আসতে হবে। তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করতে হবে প্রশাসনকে।

জানাযায়, চারঘাটের রাওথা, পিরোজপুর,ডালিপাড়া, গোপালপুর, মোক্তারপুর, গৌরশহরপুর, ইউসুফপুর, টাঙ্গন, শলুয়া ইউনিয়নের হলিাদাগাছী স্টেশন, চামটা, নন্দনগাছী স্টেশন, পুঠিমারী এলাকা এখন মাদকের অভারন্যে পরিনত হয়েছে।অন্য দিকে বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ, ভানুকর, আতারপাড়া, হরিরামপুর, মহাজনপাড়া, আলাইপুর, নারায়নপুর সড়কঘাট এখন মাদকের চিহিৃত স্পট হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে এসব এলাকায় ব্যপকভাবে বদ্ধি পেয়েছে ফেন্সিডিল, হেরোইন, গাজা, ইয়াবা উল্লেখ্যযোগ্য। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুটা নিস্কৃয়তার সুযোগেএসব এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হয়ে উঠেছে বেপরোয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগ, একটি দলের নাম ব্যবহার কওে কিছু মাদক ব্যবসায়ীএখন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে পুলিশের তালিকা ভুক্ত একাধিক মাদক মামলার আসামীরা হঠাত কওে একটি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে নেতা পরিচয়ে চালাচ্ছে মাদকের রমরমা বানিজ্য। যাদের আইয়ের উৎস শুধুই মাদক ব্যবসা। আর এসব চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী নেতার সঙ্গে কিঠু অস্বাধু প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রয়েছে গভীর সখ্যতা। ফলে তারাএখন বীরদর্পে পরিচালনা করছে মাদকের স্বর্গরাজ্য।এছাড়াও অবৈধ মাদককে কেন্দ্রে কওে গড়ে উঠেছে কয়েকটি দালাল চক্র। প্রশাসনের অভিযানে মাদক বা মাদক ব্যবসায়ী আটক হলেই ঘটনা স্থলে উপস্থিত হচ্ছেন একটি শ্রেণীর দালাল। দফা রাফার মাধ্যমে মাদক ছেড়ে দেয়া আসামীর নাম বাদ দেয়াসহ নানা অপকর্মে জড়িয়েছে এসব দালাল চক্র। স্থানীয়দের দাবি এসব দালাল চক্রকে আটক করে আইনের আওয়তায় আনলে মাদক অনেকটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে দাবি স্থানীয় একাধিক সচেতন মহলের।

মাদকের সঙ্গে কোন আপোষ নেই দাবি করে রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করে ধারাবাহিক ভাবেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে ব্যাপক মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও মাদক বন্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি এলাকাবাসীকে আরো সজাগ দৃষ্টি দিয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগী তার আহবান জানান পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।