যুক্তরাজ্যে মেলানোমার বিরুদ্ধে ব্যক্তিকেন্দ্রিক এমআরএনএ টিকার পরীক্ষা শুরু

প্রকাশকালঃ ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৩৮ অপরাহ্ণ ১৯০ বার পঠিত
যুক্তরাজ্যে মেলানোমার বিরুদ্ধে ব্যক্তিকেন্দ্রিক এমআরএনএ টিকার পরীক্ষা শুরু

যুক্তরাজ্যের চিকিৎসাবিদরা মেলানোমা, ত্বকের ক্যান্সারের সবচেয়ে মারাত্মক ধরনের বিরুদ্ধে একটি নতুন, ব্যক্তিকেন্দ্রিক এমআরএনএ টিকার পরীক্ষা শুরু করেছেন। এই টিকাটি রোগীর নিজস্ব টিউমারের জিনগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অবশিষ্ট ক্যান্সার কোষগুলোকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে সাহায্য করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। ৫২ বছর বয়সী স্টিভ ইয়ং এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। স্টিভেনেজ শহরের অধিবাসী স্টিভ ইয়ংয়ের মাথার খুলির ত্বক থেকে গত বছরের আগস্টে মেলানোমায় আক্রান্ত কোষ অপসারণ করা হয়। পরীক্ষামূলক টিকাটির লক্ষ্য—তাঁর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অবশিষ্ট ক্যান্সার কোষগুলোকে চিহ্নিত করে নির্মূল করতে সাহায্য করা।


আশা করা হচ্ছে, এর ফলে তাঁর ত্বকের ক্যান্সার আর ফিরে আসবে না। এমআরএনএ-৪১৫৭ (ভি৯৪০) নামে পরিচিত টিকাটি বর্তমানে প্রচলিত কিছু কভিড টিকার মতো একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি। এটির এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন হসপিটালসের (ইউসিএলএইচ) চিকিৎসকরা এ টিকার পাশাপাশি পেমব্রোলাইজুমাব বা কিট্রুডা নামের আরেকটি ওষুধ দিচ্ছেন, যা ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সাহায্য করে।


মডার্না এবং মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোমে (এমএসডি) কম্পানি যৌথভাবে এই চিকিৎসা উদ্ভাবন করেছে। অস্ট্রেলিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশের বিশেষজ্ঞরাও এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছেন। টিকাটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক, যার অর্থ পৃথক রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী এটির গঠন পরিবর্তন করা হয়। টিকাটি প্রত্যেক রোগীর নিজের টিউমারের জিনগত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মেলানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।


এটি শরীরকে ক্যান্সার কোষগুলোতে পাওয়া মার্কার বা অ্যান্টিজেনকে আক্রমণ করতে সক্ষম প্রোটিন বা অ্যান্টিবডি তৈরি করার নির্দেশ দেয়। ইউসিএলএইচের গবেষক ডা. হিদার শ’ বলেন, টিকাটি মেলানোমা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সারিয়ে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য ক্যান্সার যেমন—ফুসফুস, মূত্রাশয় ও কিডনির টিউমারের ওপরও এটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। ‘এটি ক্যান্সারের চিকিৎসায় দীর্ঘদিনের মধ্যে দেখা সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতিগুলোর একটি’, বলেন হিদারশ’।