যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট চ্যালেঞ্জ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ছুড়ে দিয়েছেন মাইক পেন্স। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় মাইক পেন্স ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। বুধবার তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে সামিল হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
এক ভিডিও বার্তায় পেন্স বলেন, ‘একটি শক্তিশালী এবং আরও সমৃদ্ধ আমেরিকার জন্য আমরা একসঙ্গে যে অগ্রগতি অর্জন করেছি তার জন্য আমি সর্বদা গর্বিত থাকবো।’
অবশ্য মনোনয় পেতে হলে পেন্সকে অনেক কষ্ট করতে হবে। মনোনয়নের জন্য ট্রাম্প ছাড়াও তাকে অন্তত ১০ জনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হবে।
একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট যে প্রেসিডেন্টের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছেন তারই বিরুদ্ধে পরবর্তীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে বিরল। মে মাসে রয়টার্স এর জনমত জরিপে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট এবং ট্রাম্পের চেয়ে ৪৪ পয়েন্ট পেছনে পেন্সকে পাওয়া গেছে।
ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের মেয়াদের চার বছরে তার একাধিক কেলেঙ্কারিতেও তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন পেন্স। তিনি সব সময় ট্রাম্পের পক্ষে কথা বলে গেছেন।
তবে ২০২০ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়ের পর ট্রাম্পর আহ্বানে সাড়া না দিয়ে সিনেটের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের জয়কে তিনি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন।
তখন পেন্স বলেছিলেন, নির্বাচনের ফলাফলে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার সাংবিধানিকভাবে তাকে দেওয়া হয়নি।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠান চলাকালে ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চলায়। যা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে কালো অধ্যায় বলে বিবেচিত হয়।
বুধবার নিজের ভিডিও বার্তায় পেন্স যুক্তরাষ্ট্রের চলমান মূল্যস্ফীতি, অভিবাসন সংকট এবং মন্দায় পড়ার ঝুঁকি তৈরি হওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।