বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত কুমিল্লা জেলা, তার সমৃদ্ধ ইতিহাস, বিচিত্র সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য দেশবাসীর কাছে বেশ পরিচিত। এই জেলাটি একদিকে যেমন প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতির ধারক, অন্যদিকে আধুনিকতার ছোঁয়াও রয়েছে এর মধ্যে।
ঐতিহ্যের ধারক: কুমিল্লা শহর তার ঐতিহাসিক প্রাসাদ, মন্দির, মসজিদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনার জন্য বিখ্যাত। প্রাচীনকাল থেকেই এই জেলাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা, রীতিনীতি ও সংস্কৃতির মধ্যে ঐতিহ্যের ছাপ স্পষ্ট।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: কুমিল্লা জেলা শুধু ঐতিহাসিক স্থানগুলির জন্যই নয়, এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও পরিচিত। লালমাই পাহাড়, জলপ্রপাত, হিলট্র্যাকিং পথ, বন সফারি ইত্যাদি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।
সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি: কুমিল্লার সংস্কৃতি বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য। এখানকার লোকসংগীত, নৃত্য, হস্তশিল্প এবং খাবারের মধ্যে দীর্ঘ ইতিহাসের ছাপ বিদ্যমান। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে, যার ফলে এখানকার সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে।
জমিদারি ঐতিহ্য: কুমিল্লা বাংলাদেশের বিখ্যাত জমিদারি অঞ্চলগুলির মধ্যে অন্যতম। এখানকার জমিদার বাড়িগুলো আজও ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
খাবারের স্বর্গ: কুমিল্লার খাবারের স্বাদ বিশ্বে বিখ্যাত। এখানকার বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, মাছের খাবার এবং অন্যান্য স্থানীয় খাবার খেতে সবাই ভালোবাসেন।
সর্বশেষে, কুমিল্লা জেলা তার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য একটি অনন্য স্থান। এই জেলাটি একইসঙ্গে প্রাচীন এবং আধুনিক, গ্রামীণ এবং শহুরে, সব কিছুর মিশেলে গড়ে উঠেছে।