সেন্টমার্টিন উপকূলে তিন ট্রলারসহ ১৮ জেলে অপহৃত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের সেন্টমার্টিন দ্বীপের পূর্বে সাগর থেকে তিনটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১৮ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি। সোমবার (৩১ আগস্ট) রাতে সীতা নামক সমুদ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃত জেলেরা হলেন—জাহাঙ্গীর আলম, মো. আলমগীর, আবদুর রহিম, মো. আলম, মো. সব্বির, মো. তৈয়ুব, আবু তাহের, মনি উল্লাহ, রহমত উল্লাহ, আবু বক্কর ছিদ্দিক, সৈয়দ উল্লাহ, মো. রফিক, আবছার মাঝি, মো. তাহের, আবদুল মতলব, হাফেজ আহমেদ, আমিনুরুল হোসেন ও সালাউদ্দিন। তারা সবাই সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম জানান, সাগরে মাছ ধরার সময় তিনটি ট্রলারসহ স্থানীয় ১৮ জেলেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং স্থানীয় জেলেদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় এক জেলে জানান, মাছ ধরার সময় হঠাৎ মিয়ানমারের জলসীমা থেকে একটি স্পিডবোট এসে ট্রলারগুলোকে ধাওয়া দেয়। এরপর আরাকান আর্মির সদস্যরা বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে তিনটি ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যায়।
অপহৃতদের পরিবারের সদস্য ও ট্রলার মালিকরা দ্রুত জেলেদের উদ্ধারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, তিনটি ট্রলার ও মাঝিমাল্লাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রশাসন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ট্রলার মালিক সমিতি ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদ ও উপকূলীয় অঞ্চল থেকে অন্তত ৩১৮ জন জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে বিজিবির সহায়তায় প্রায় ২০০ জনকে ফেরত আনা হলেও এখনও অন্তত ১০০ জন জেলে তাদের হেফাজতে রয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েকদিনেই ৬৪ জন জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫