বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে
বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে বহু ব্যয় করি, বহু দেশ ঘুরে দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু।
কবিতাটির গল্প:
১৯৩৭ সালে, ১০ বছর বয়সী সত্যজিৎ রায় তার মা সুপ্রভা রায়ের সাথে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে দেখা করতে যান।
ছোট্ট সত্যজিৎ রবীন্দ্রনাথের কাছে অটোগ্রাফ চান।
রবীন্দ্রনাথ তৎক্ষণাৎ অটোগ্রাফ দেননি, বরং পরের দিন সত্যজিৎকে একটি কবিতা লিখে দিয়েছিলেন।
এই কবিতাই "বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে"।
এই কবিতাটিতে, রবীন্দ্রনাথ দূর-দেশ ঘুরেও সৌন্দর্য খুঁজে পাননি, কিন্তু তার ঘরের দোরার সামনেই ধানের শীষে এবং শিশির বিন্দুতে তা খুঁজে পেয়েছেন।
এই কবিতাটি প্রতীকীভাবে বোঝায় যে সত্যিকারের সৌন্দর্য আমাদের চারপাশেই বিদ্যমান, যদি আমরা শুধু মনোযোগ দিয়ে তাকাতে পারি।
কবিতাটির তাৎপর্য:
"বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে" কেবল একটি কবিতা নয়, এটি সত্যজিত রায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে সম্পর্কেরও প্রতীক। এই কবিতাটি আমাদের সকলকে মনে করিয়ে দেয় যে সৌন্দর্য আমাদের চারপাশেই বিদ্যমান, যদি আমরা শুধু মনোযোগ দিয়ে তাকাতে পারি।