সমন্বিত গুচ্ছ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় যানযটের কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেরি হয় সাভার থেকে আসা মেহেরুন্নেসার। দেরিতে গিয়েও অনেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে। কিন্তু অন্যরা সুযোগ পেলেও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেহেরুন্নেসা পরীক্ষা দিতে পারেননি। তার রোল নম্বর ৩০৩১৮৯।
নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ভুক্তভোগীর জন্য কিছুই করতে পারেননি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে ভুক্তভোগীর অভিযোগ ২০ মিনিট সময় থাকতেও তাকে পরীক্ষা হলে বসার সুযোগ দেয়া হয়নি।
ভুক্তভোগী মেহেরুন্নেসা জানান, যানযটের কারনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছুতে ২০ মিনিট দেরি হয় আমার। আমি ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিদিষ্ট রুমে গেলে পরীক্ষার হলের পরীক্ষক আমাকে দ্বিতীয় তলায় চেয়ারম্যানের অনুমতি নিতে বলে।
সেটা নেওয়ার পর দুইজন আমাকে নিয়ে চার তলায় পরীক্ষার হলের সামনে যায়। তখন তাদের কাছে পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্ন ছিল। তাদের মধ্যে একজন আমাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে বললেও ঐ রুমের পরীক্ষকেরা আমার পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে জানান। তখনো পরীক্ষা ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় বাকি ছিল।
ভুক্তভোগী আরো জানান, আমার পরীক্ষা যদি তারা না নেবেন তাহলে আমাকে কেন ২০ মিনিট নাগাদ একবার নিচ তলা ও আরেকবার ওপর তলায় কেন পাঠানো হল? এরপর তারা যে স্যারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে বলল সেই অনুমতি নেওয়ার পরও কেন আমাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হল না? এখানে তো আমার সাথে এক প্রকার অবিচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বললে আমি সেটাও দিয়েছি।
জানা যায়, পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিটে পরেও অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে্ন। শুধু তাই নয়, অন্য উপকেন্দ্রের এক শিক্ষার্থীও ভুল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসায় তাকেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার পর মেহেরুন্নেসা আমার কাছে এসে সবকিছু বলে।
কিন্তু সে এমন একটি সময় আসে যখন আমাদের হাতে আর কিছু করার নেই। যানযটের কারনে অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছে। কিন্তু পরীক্ষার নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকলেও আমরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে যতটুকু সময় থাকে তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে সুযোগ দিয়ে থাকি।
তিনি আরও বলেন, মেহেরুন্নেসা বিষয়টি আমরা যারা পরীক্ষার দায়িত্বে আছি তাদের কেউ অবগত ছিলেন না। যদি আমাদের কেউ অবগত থাকতেন তাহলে আমরা তার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতাম। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় আমাদের আর কিছু করার নেই। সেজন্য আমরা দুঃখিত।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ও বি ইউনিট পরীক্ষার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দীন বলেন, আমি পরীক্ষার ঐ রুমের পরীক্ষকদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি মেয়ে যখন তার নিদিষ্ট রুমে যায় তখন পরীক্ষার বাকি আর মাত্র ১৫ মিনিট ছিল। এরপর আমরা যখন জানতে পারি তখন পরীক্ষা শেষ। তখন পরীক্ষার বিধি মোতাবেক আমাদের কিছু করার ছিল না।