ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় যুবলীগের সাবেক এক নেতাকে আটকের পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রাম থেকে যুবলীগের সাবেক ওই নেতাকে আটক করা হয়। ওই রাতেই মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
আটকের পর থানা থেকে মুক্তি পাওয়া ওই ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম নানজু (৫২)। তিনি সাবেক সেনা সদস্য এবং দাঁতভাঙা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তবে ২০১৩ সাল থেকে তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে তিনি দলটির দাঁতভাঙা ইউনিয়ন শাখার শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশের হাতে আটকের পর বর্তমান রাজনৈতিক পরিচয়ে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন রফিকুল ইসলাম নানজু।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশের একটি দল আমাকে ঘিরে ফেলে। তারা বলেন, ওসি সাহেব সালাম দিয়েছেন। থানায় গেলে জানানো হয়, আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। সেই মামলায় আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আমি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা সভাপতিকে খবর দেই। তিনি থানায় পৌঁছে ওসির সাথে কথা বলেন। তার জিম্মায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমি থানা থেকে ছাড়া পাই।’
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রশ্নে নানজু বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সর্বশেষ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলাম। ২০১৩ সাল থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনীতি করি। বর্তমানে আওয়ামী লীগ কিংবা এর কোনও অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা সভাপতি মাওলানা আক্তার হোসেন বলেন, ‘একসময় যুবলীগ করার কারণে নানজুকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়েছিল। খবর পেয়ে আমি থানায় যাই। পুলিশকে বলেছি, ২০১৩ সাল থেকে নানজুকে চিনি। তখন থেকে সে আমার সঙ্গে রাজনীতি করে। ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক প্রোগ্রাম তার নেতৃত্বে হয়। একসময় যুবলীগ করলেও বর্তমানে সে আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করে। পরে আমার কাছে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।’
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, ‘প্রথমে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ২০২৪ সালের একটি মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল। পরে যাচাই-বাছাই করে দেখা গেলো তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২০২২ সালের একটি কমিটিতে রয়েছেন। তাই তাকে ওই মামলায় আমরা গ্রেফতার দেখাতে পারি না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তাদের অনুমতি সাপেক্ষে আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’