|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:২১ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৩:৪২ অপরাহ্ণ

তিতুমীর কলেজের তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক


তিতুমীর কলেজের তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক


ঢাকা প্রেস নিউজ

 

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে অনশনে থাকা তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। রোববার দুপুরে মহাখালীতে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রাসেল এ তথ্য জানান।
 

ডা. রাসেল বলেন, অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের অবস্থা গুরুতর। তাদের মধ্যে একজনের প্রসাব তৈরি হচ্ছে না, যা কিডনির কার্যক্রমে সমস্যা সৃষ্টি করছে। এ কারণে তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই চিন্তার।
 

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সাত দফা দাবির মধ্যে একটি হিসেবে কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার জন্য গত পাঁচ দিন ধরে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। এর পাশাপাশি বিক্ষোভ এবং সড়ক অবরোধও চলছে। আজও তারা সড়ক অবরোধ করেছেন, এবং বাঁশ দিয়ে তিতুমীর কলেজের দুই পাশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন, যার ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
 

শিক্ষার্থীরা ২৯ জানুয়ারি থেকে এই দাবিতে অনশন শুরু করেন এবং একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গত শনিবার দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে আরও পাঁচজন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন।
 

রাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে গুলশান এবং গুলশান থেকে মহাখালী পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়ে তাদের দাবির পক্ষে অবস্থান নেন। শুক্রবারও তারা একইভাবে সড়ক অবরোধ করেছিলেন, কিন্তু রাতে তা তুলে নেওয়া হয়।
 

আজ রোববারও তারা ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, যার মাধ্যমে ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করা হবে। তবে বিশ্ব ইজতেমা ও আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি শিথিল করা হবে।
 

তাদের সাত দফা দাবি হলো:

১. তিতুমীর কলেজকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে। ২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ৩. সকল শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, নতুবা আবাসিক খরচ বহন করতে হবে। ৪. আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইন ও সাংবাদিকতা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্য পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। ৬. শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে। ৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার নির্মাণের জন্য জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫