হারাইয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর

প্রকাশকালঃ ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১২:০৬ অপরাহ্ণ ৩৪৯ বার পঠিত
হারাইয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর

ওগাঁর বদলগাছীতে হারাতে বসছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মাটির ঘর। সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা শান্তির নীড় মাটির ঘর এক সময় গ্রামের প্রতিটি মানুষের প্রিয় ছিল। কিন্তু কালের পরির্বতনে আজ যা হারিয়ে যেতে বসছে।

বেশি দিনের কথা নয়, বাংলার প্রতিটি গ্রামের নজর পড়তো এই মাটির বাড়ি এবং ঘর। ঝড় বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি প্রচুর গরম ও শীতকালে বসবাস করার মত ছিল উপযোগী এই মাটির বাড়ি।

ঘর তৈরির সময় প্রতিযোগীতামূলকভাবে বিভিন্ন ডিজাইন ও ফুল নকশা কাটা হতো। কে কত সুন্দর করে নকশা করতে পারে। বড় বড় গৃহস্থরা তৈরি করতো দ্বিতীয় তলা আবার কেউ এক তলা। যারা ঘর তৈরি করতো তাদের গ্রাম বাংলার ভাষায় বলা হত ঘরামী। আর তাদেরকে দিয়ে তৈরি করা হত এই মাটির ঘর।


গরমের মৌসুমে মাটির বাড়ি খুবই আরামদায়ক বলে গ্রামের বিত্তবানেরা এ ঘরের বসবাস করতেন। প্রাচীনকালে গ্রামের বিত্তবানেরা অনেক অর্থ ব্যয় করে মজবুত করে দ্বিতলা বিশিষ্ট মাটির ঘর তৈরি করত, আর সেখানেই আরামদায়কভাবে বসবাস করতেন। তবে এখন আর মাটির বাড়ি চোখে পড়ে না।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় আর সময়ের পরির্বতে গ্রাম বাংলা থেকে ঐতিহ্যবাহী মাটির বাড়ি বা ঘর আজ প্রায় বিলুপ্তর পথে।


উপজেলার আবাদপুর গ্রামের পুরাতুন গৃহস্ত রঘুনাথ, নির্মল ও অখিল বলেন, আগে আঠালো মাটি দিয়ে কাঁদা পরিণত করে বাড়ির ভিত দেওয়া হতো, যার গোড়ার দিক তিন ফুট চওরা করে। বাঁশ বা তাল গাছের তীর দিয়ে তলা মজবুদ করা হত যাতে আট থেকে ১২শ মণ ধান রাখা যেত।

তারা জানান, এখনো আমাদের কিছু মাটির বাড়ি রয়েছে সেখানে আমরা বসবাস করি। ছেলে ও মেয়েরা এসব বাড়ি পছন্দ করে না তারা ইটের বিন্ডিং বাড়ি করেছে।

তবে তাদের অভিযোগ মাটির বাড়ি করতে গেলে জায়গা বেশি লাগত বর্তমান কালের পরিবর্তনে ইটের দালান অল্প জায়গায় বড় বড় বিন্ডিং হচ্ছে বলে এখন প্রায় বিলুপ্তর পথে মাটির বাড়ি।