|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:২০ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪ অপরাহ্ণ

রাগবি থেকে ক্রিকেটে রিকেলটনের পথচলা


রাগবি থেকে ক্রিকেটে রিকেলটনের পথচলা


স্পোর্টস ডেস্ক

 

শৈশব থেকেই খেলাধুলায় দারুণ পারদর্শী ছিলেন রায়ান ডেভিড রিকেলটন। স্কুল পর্যায়ে রাগবি খেলা, প্রাদেশিক স্কোয়াশে সাফল্য এবং ভারোত্তোলনে দক্ষতা—সব মিলিয়ে তাঁকে একজন সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদ হিসেবে দেখা হতো। দক্ষিণ আফ্রিকায় রাগবি অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়ায় অনেকেই ধারণা করেছিলেন, এই খেলাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেবেন তিনি। কিন্তু টিভির পর্দায় অস্ট্রেলিয়ার দুই বিধ্বংসী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ম্যাথু হেইডেন ও অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ব্যাটিং দেখে বদলে যায় রিকেলটনের মন।
 

এ পরিবর্তন বুঝতে দেরি হয়নি তাঁর বাবারও। জোহানেসবার্গের সেন্ট সিথিয়ান্স কলেজের ভূগোল শিক্ষক ও ক্রীড়া প্রধান ইয়ান রিকেলটন ছেলের হাতে ব্যাট তুলে দেন। সেই পথ ধরে ২০২২ সালের মার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে রিকেলটনের। পরের বছর ওয়ানডেতে আত্মপ্রকাশের পর, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সুযোগ পান তিনি। যদিও ওই আসরে মাঠে নামার সুযোগ পাননি, বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয়েছে বেঞ্চে বসে।

 

এক বছরের ব্যবধানে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে নিজেকে চেনালেন রিকেলটন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে করাচিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আইসিসির টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলতে নেমেই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি উপহার দেন তিনি। ১০৬ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রেটদের কাতারে নাম লেখান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
 

প্রোটিয়ারা প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩১৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে। জয়ের জন্য ৩১৬ রানের লক্ষ্যে নেমে আফগানিস্তান শুরুতেই ছন্দ হারায়। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলটি শেষ পর্যন্ত ২০৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পায় ১০৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন রহমত শাহ। প্রোটিয়া পেসার জেনসেন, এনগিরি ও রাবাদা মিলে শিকার করেন ৬টি উইকেট।

 

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রিকেলটনের আগে শতক হাঁকিয়েছিলেন হার্শেল গিবস, হাশিম আমলা, গ্রায়েম স্মিথ ও জ্যাক ক্যালিসের মতো কিংবদন্তিরা। তবে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করা দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান তিনি। এর আগে একমাত্র গিবসই এই কীর্তি গড়েছিলেন—১৯৯৬ বিশ্বকাপে আরব আমিরাতের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে ১৮৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে।
 

কুইন্টন ডি ককের অবসরের পর দক্ষিণ আফ্রিকানরা রিকেলটনের দিকে নতুন আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল। সেই প্রত্যাশার প্রতিদান দিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। করাচিতে দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার সঙ্গে ১২৯ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন তিনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হওয়ার আগে তাঁর ১০৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি চারের সঙ্গে একটি বিশাল ছয়ে।
 

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে নতুন তারকার জন্ম হলো, এবার দেখার পালা ভবিষ্যতে কতদূর যেতে পারেন রিকেলটন।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫