র্যাব বিলুপ্তি ও সীমান্তরক্ষায় বিজিবির ভূমিকা সীমিত করার সুপারিশ জাতিসংঘের

ঢাকা প্রেস নিউজ
আজ বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন (ওসিএইচসিআর) এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর ভূমিকা পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করেছে। জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়কালে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত নন এমন কর্মকর্তাদের নিজ নিজ ইউনিটে ফেরত পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া, বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) কার্যক্রমকে শুধুমাত্র সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তর (ডিজিএফআই)-এর কার্যক্রমকে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার আওতায় সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বিতভাবে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, যেন ২০২৪ সালের আন্দোলন কিংবা পূর্ববর্তী আন্দোলন দমনকাজে সম্পৃক্ত কোনো কর্মকর্তা র্যাব, ডিজিএফআই বা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখায় দায়িত্ব পালন করে থাকলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে মনোনীত করা না হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আন্দোলনরত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রাণঘাতী মেটাল লোড করা আগ্নেয়াস্ত্র বা গোলাবারুদ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত। শুধুমাত্র গুরুতর আঘাত প্রতিরোধ বা প্রাণ রক্ষার প্রয়োজনে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রাণঘাতী মেটাল লোড করা শটগানসহ সজ্জিত হওয়া বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের দ্বারা গণহারে মামলা ও গ্রেপ্তার বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, একটি স্বাধীন নির্যাতন প্রতিরোধ ও আটক পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি গঠনের এবং নির্যাতনবিরোধী ঐচ্ছিক প্রটোকল মেনে চলার সুপারিশ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে পুলিশ বাহিনীর নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে একটি স্বাধীন জাতীয় পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের চেইন অব কমান্ডের বাইরে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে, যা পুলিশি কার্যক্রমের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধান করবে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫