রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ও রিসার্চ অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড থট (আরআইটি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন আইসিজেআর-১, ২০২৫–এর সমাপনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফারুকী বলেন, “জুলাইয়ে যা ঘটেছে, তা একটি নিখাদ সত্য। কিন্তু যদি আমরা সেই সত্যকে ভিত্তি করে নিজেদের ন্যারেটিভ গড়ে না তুলি, তাহলে একদিন সেই গল্পগুলো হারিয়ে যাবে। তাই এই সত্যকে আমাদের সম্মিলিতভাবে লালন করতে হবে, যেন তা হয়ে ওঠে জাতির একটি কালেক্টিভ ন্যারেটিভ।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আমরা সরকারপক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নিচ্ছি। তবে সেগুলো একেবারে সরকারিভাবে নয়, বরং একটি স্বাধীন শিল্প ও চিন্তার প্রয়াস হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। যারা আমাদের কাজগুলো দেখছেন, তারা নিশ্চয়ই এটি বুঝতে পারছেন।”
উপদেষ্টা জানান, এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সরকারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে সীমিত সময়ের কারণে সব কাজ এখনই সম্পন্ন সম্ভব নয়। “আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই দায়িত্ব আরও দৃঢ়ভাবে বহন করবে,”—যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, “জুলাই আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ সম্পদকে শুধু সংরক্ষণ করলেই চলবে না, এর ন্যারেটিভকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও একাডেমিক পরিসরে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের গুরুত্ব শুধু অতীতের স্মৃতিচারণে সীমাবদ্ধ নয়। একে ভবিষ্যতের চিন্তাচর্চায়ও প্রাসঙ্গিক রাখতে হবে।”