ঢাকা প্রেস,লাইফস্টাইল ডেস্ক:-
হাঁটা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী, তবে সঠিক নিয়মে হাঁটা প্রয়োজন। ভুল নিয়মে হাঁটলে শরীরের বিভিন্ন অংশে যেমন জয়েন্টে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং আর্থ্রাইটিসের সমস্যা বাড়তে পারে। সঠিক সময়ে এবং সঠিকভাবে হাঁটলে হাঁটার উপকারিতা অনেকগুণ বেড়ে যায়, অন্যথায় বিপদ ঘটতে পারে।
আমরা সবাই জানি হাঁটা শরীরের জন্য ভালো, তবে কতটুকু জানি যে হাঁটার উপকারিতা কিন্তু শুধুমাত্র সঠিক নিয়মে হাঁটলে পাওয়া যায়। হাঁটা মানে শুধু চলা নয়, এর সঙ্গে আরও অনেক কিছু জড়িত – হাঁটার ধরন, সময়, গতি ইত্যাদি সব কিছুই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়মে না হাঁটলে হাঁটুর সমস্যা, ব্যথা এবং বিভিন্ন ধরনের জয়েন্টের রোগ হতে পারে।
আজকাল হাঁটুর সমস্যা বাড়ছে এবং ৩৫ বছর বয়সের পর অনেকের হাঁটু বা কোমরে ব্যথা শুরু হয়। প্রতিদিন হাঁটা অবশ্যই ভালো, তবে বেশি হাঁটাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সঠিক নিয়মে হাঁটা না হলে, বিশেষ করে সিঁড়ি ভাঙার মতো কাজও হাঁটুর ওপর চাপ বাড়ায়। অস্টিওআর্থ্রাইটিস রিসার্চ সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, সঠিক নিয়মে না হাঁটা এবং বেশি সিঁড়ি ভাঙা হাঁটুর সমস্যার অন্যতম কারণ।
অনেকে মনে করেন যে ঘরের কাজ বা বাইরে চলাফেরা করলেই হাঁটার উপকারিতা পাওয়া যায়, তবে এটি সাধারণ হাঁটা। এর থেকে তেমন উপকার হয় না। আসলে উপকার পেতে ব্রিস্ক ওয়াকিং বা দ্রুত হাঁটা প্রয়োজন, অর্থাৎ দিনে ৩-৬ হাজার স্টেপ দ্রুতগতিতে হাঁটা। একবারে না পারলে, সকালে কিছুক্ষণ এবং বিকালে কিছুক্ষণ হাঁটাও হতে পারে। তবে ব্রিস্ক ওয়াকিংয়ের সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে হাঁটার পরেও হাঁটুব্যথা বাড়ে।
সাধারণভাবে সুফল পাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়, যেমন সকালবেলায় এক ঘণ্টা হাঁটা প্রয়োজন। প্রথম ১৫ মিনিট সাধারণ গতিতে হাঁটার পর, ধীরে ধীরে গতি বাড়িয়ে আরও ২০-৩০ মিনিট হাঁটুন। হাঁটার শেষের দিকে আবার ধীরে হাঁটতে হবে। এই নিয়ম না মানলে বিপদ হতে পারে।
অনেকেই শুরুতেই খুব দ্রুত হাঁটতে শুরু করেন, যা হাঁটুর ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে। এতে হাঁটুর চারপাশে রস জমে গিয়ে প্রদাহ হতে পারে, যা হাঁটুর কার্টিলেজের ক্ষতি করে। সঠিক নিয়মে হাঁটলে হাঁটুর সমস্যা ১৫ শতাংশ কমানো সম্ভব, তবে ভুলভাবে হাঁটলে হাঁটুর সমস্যা ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
হাঁটা শুধুমাত্র হাঁটুর জন্যই নয়, এটি সমগ্র শরীরের ব্যায়াম। হাঁটার মাধ্যমে পায়ের গোড়ালি, ছোট জয়েন্ট, হাঁটু, কোমর, শিরদাঁড়া, ঘাড় এবং কাঁধের মুভমেন্ট সচল থাকে, এবং শরীরের সব জয়েন্টে সাইনোভিয়াল ফ্লুইডের প্রচলন বাড়ে। এতে জয়েন্টের পুষ্টি এবং কার্টিলেজের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
হাঁটার উপকারিতা পেতে কিছু পরামর্শ:
সুতরাং, সঠিক নিয়মে হাঁটলে হাঁটার উপকারিতা পাবেন এবং শরীর থাকবে সুস্থ ও শক্তিশালী।