দ্বিধায় শেখ হাসিনাকে নিয়ে দিল্লি

প্রকাশকালঃ ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৭ অপরাহ্ণ ৩৮১ বার পঠিত
দ্বিধায় শেখ হাসিনাকে নিয়ে দিল্লি

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপে ক্ষমতা ছাড়ার প্রায় এক মাস হতে চলেছে। এখন তিনি দিল্লিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। ৫ই আগস্ট হাসিনার নাটকীয়ভাবে ক্ষমতা হারানোর পর তিনি একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান। তিনি দিল্লিতে অবতরণের পর গণমাধ্যমের বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছিল হাসিনা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয়ের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দেশগুলো সাফ জানিয়ে দিয়েছে তাদের দেশে হাসিনার জায়গা হবেনা।

 

এই পরিস্থিতিতে তার সামনে অপশন মাত্র দুটো। হয়ত তিনি ভারতেই রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে থাকবেন, নাহয় তাকে দেশে ফিরে আসতে হবে। এখানে দেখার বিষয় ভারত হাসিনার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়। তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, যদি হাসিনা স্থায়ীভাবে ভারতে অবস্থানের সুযোগ পান তাহলে তা দিল্লিকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সাথে সম্পর্ক গড়তে চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। যদি এমনটাই ঘটে তাহলে দিল্লির কূটনীতি মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। কেননা ভারতের কাছে বাংলাদেশ শুধুমাত্র প্রতিবেশী দেশই নয়। দিল্লির কৌশলগত অংশীদার হচ্ছে বাংলাদেশ। এছাড়া ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘনিষ্ঠ মিত্র হচ্ছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে ভারতের জন্য বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

 

এক্ষেত্রে ভারতে হাসিনার উপস্থিতি ঘিরে দিল্লিকে সাবধানে পা ফেলতে হবে। বিশেষ করে যদি অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেয়ার অনুরোধ করে। এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা হচ্ছে ভারত কোনোভাবেই হাসিনাকে ফেরত দিতে চাইবে না। অন্যদিকে অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন হচ্ছে, হাসিনা কী ভারত থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এ বিষয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ভারত হাসিনাকে কীভাবে আতিথেয়তা করবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু ভারতে থেকে হাসিনার ঘরোয়া রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা শত্রুতাকে উস্কে দেবে। এতে হাসিনা ও দিল্লি উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।