রাজধানী মানিক নগর নকশা বিকৃত করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি রাজউকের
নিজস্ব প্রতিবেদক:-
*পাঁচ তলার অনুমোদন নিয়ে নির্মাণ করছেন সাত তলা......
* রাজউকের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা..................
রাজধানী মানিক নগর পাঁচতলা নকশার অনুমোদন নিয়ে সাততলা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে ভবন মালিক কামালের বিরুদ্ধে। মানিক নগর পুরাতন ছয়তলার গলির ৭৬/সি নম্বর বাড়ির সাত তলার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক এর নকশা বহির্ভূতভাবে আরও তিনতলা বর্ধিত করেছেন ভবন মালিক কামাল। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করেছেন তিনি। স্থানীয়দের শত বাধা উপেক্ষা করে আইনের তোয়াক্কা না করে ভবন নির্মাণ চালিয়ে আসছিল ভবন মালিক। কামালের বেপরোয়া মনোভাবকে রাজউকের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণ।
জানা গেছে পৌনে দুই কাঠা জমির ওপর রাজউকের পাঁচ তলার নকশার অনুমোদন নিয়ে নির্মাণকাজ চলমান রেখেছেন ভবন মালিক। অতিরিক্ত সাত তলার নির্মাণ কাজ করার সময় কোনো সেফটিনেস না থাকায় নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। নজরদারির অভাবে এ মৃত্যুর ঘটনাকে দায়ী করছেন অনেকে। নির্মাণাধীন ভবনের চার পাশে ৪০ ভাগ জমি ছেড়ে ভবন নির্মাণের নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। সম্পূর্ণ অনিয়মে চলছে নির্মাণ কাজ। ভবন মালিকের উদাসীনতার কারণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ভবন নির্মাণের সময় বাইরে সেফটিনেস থাকলে সে প্রাণে বেঁচে থাকত। তবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের নজরদারি না থাকায় রাজধানীজুড়ে ভবন মালিকদের বেপরোয়া মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করায় রাজধানীতে দিন দিন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
এদিকে ইমারত অবকাঠামো নির্মাণ আইন ১৯৫২ সর্বশেষ সংশোধনীসহ এর ৩ ধারার বিধান মতে উক্ত নির্মাণ কাজের সমর্থনে রাজউকের ইমারত নির্মাণ কমিটির অনুমোদিত নকশা থাকা প্রয়োজন এবং এ আইনের ধারা ১০ অনুযায়ী পরিদর্শনকালে অথরাইজড অফিসার বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে প্রদর্শনের জন্য এক কপি নকশা বা অনুমোদন পত্র সংশ্লিষ্ট সাইটে সংরক্ষণ করার বিধান থাকলেও ওই ভবনে দেখা যায়নি। এছাড়াও সাইটে তথ্য সংবলিত কোনো বিলবোর্ড বা সাইনবোর্ড প্রদর্শন করা হযনি। এমনকি ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী ফরম ৩০৭ এর মাধ্যমে অথরাইজড অফিসারকে নির্মাণ কাজ শুরু অবহিত করা হয়নি। এ ভবনটি সম্পূর্ণ বিধি লঙ্ঘন করে নির্মাণ করা হয়েছে।
ভবন মালিক কামালের কাছে অনিয়মের বিষয় জানতে চাওয়া হলে গণমাধ্যম 'কে বলেন, আমি রাজউকের ইমারত নির্মাণ আইন মেনে নির্মাণ কাজ করছি। আমি নিয়ম ভঙ্গ করিনি। আপনার ভবনে গিয়ে দেখা গেছে সাত তলায় কোনো সেফটিনেস নেই , যাদি থাকত তাহলে শ্রমিকের মৃত্যু হতনা সে হয়ত প্রাণে বাঁচত। এমন প্রশ্নের উত্তর এরিয়ে যান। কামাল ব্যস্ততার অযুহাতে ফোন কেটে দেন। এ মৃত্যুর জন্য কামাল অপরাধী সে দায় এড়াতে পারেন না।
এসব অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে জোন – ৬/১ এর দায়িত্বে থাকা পরিচালক সেলিব্রত কর্মকার গণমাধ্যম ' কে বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা তাহলে ক্ষতিয়ে দেখা হবে। জোন- ৬/১ এর অথরাইজড অফিসার হাসানুজ্জামান এর মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনকল গ্রহণ করেননি বা খুদে বার্তা পাঠালেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। পরে তাঁর দপ্তরে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য দেওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। ইমারত পরিদর্শক বিশ্বজিৎকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি বলেন , আামদের মোবাইল কোর্ট শুরু হলে ব্যবস্থা নেব। নোটিশ করা হবেনা কেন এমন প্রশ্নের জবাব এরিয়ে বলেন , এটা অফিমিয়াল বিষয় আমি নতুন যোগদান করেছি শুরুতে যারা দায়িত্বে ছিল তারা ভুল করেছে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫