ঢাকা প্রেস
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:-
মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতি এখনও গুরুতর। যদিও পানির স্তর কিছুটা কমেছে, তবে নিম্নাঞ্চলের মানুষ বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের চরম সংকটে ভুগছে।
মৌলভীবাজারে বন্যার পানি কিছুটা কমলেও, বিশুদ্ধ পানির সংকট এবং খাদ্যের অভাব এখনও জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চল ও হাওর এলাকার মানুষরা এই দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, রাজনগর, জুড়ী ও মৌলভীবাজার সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ বন্যার কারণে তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে এবং কৃষিজমি প্লাবিত হয়ে চরম দুর্দশায় পড়েছেন। মনু, ধলাই ও ফানাই নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দি মানুষরা জানিয়েছেন, তাদের অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু খাদ্যের অভাব এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট তাদের দৈনন্দিন জীবনকে কঠিন করে তুলেছে। কদমহাটা উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের রহমতুল্লাহ ব্যাপারী বলেন, "আমরা পরিবারসহ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু খাবার এবং গবাদিপশুর খাবারের অভাবে আমরা চিন্তিত।"
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলায় বন্যা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দুই লাখ ত্রিশ হাজারেরও বেশি। প্রশাসন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। তবে, বিশাল এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া এবং বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মৌলভীবাজারে বন্যা কবলিত মানুষরা এখনও বিশুদ্ধ পানির সংকট এবং খাদ্যের অভাবে দুর্ভোগ ভোগ করছে। প্রশাসন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করলেও, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ত্রাণ কার্যক্রমে কিছুটা বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।