|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০২ আগu ২০২৫ ১০:৪৪ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০৯ মে ২০২৩ ০৬:০৬ অপরাহ্ণ

‘দ্য কেরালা স্টোরি’র সদস্যকে হত্যার হুমকি!


‘দ্য কেরালা স্টোরি’র সদস্যকে হত্যার হুমকি!


‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে গোটা ভারতজুড়ে বিক্ষোভ। ইসলাম ধর্মকে কলুষিত করার চেষ্টা, সমাজে বিদ্বেষমূলক বার্তা, সন্ত্রাস, দেশে শান্তি নষ্ট করা ইত্যাদি একাধিক অভিযোগ এই ছবির কাহিনি ঘিরে। অথচ সুপ্রিম কোর্ট, কেরল এবং মাদ্রাজ হাইকোর্ট-সব আদালত থেকেই বিরোধীদের করা অভিযোগগুলো খারিজ করা হয়েছে। 

কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামার নাম নেই। গতকাল পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-কে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনি পথে হাঁটবেন বলেও জানিয়েছেন ছবির নির্মাতারা। এদিকে তামিলনাড়ুর বেশির ভাগ মাল্টিপ্লেক্সে প্রদর্শন বন্ধ করা হয়েছে ‘কেরালা স্টোরি’র।


এমতাবস্থায় মুম্বাই পুলিশের কাছে আরো গুরুতর অভিযোগ করলেন ছবির নির্মাতা। মুম্বাই পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র একজন ক্রু সদস্য একটি অজানা নম্বর থেকে হুমকিমূলক বার্তা পেয়েছেন। সেই হুমকি বার্তার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন। 

বার্তায় বলা হয়েছে, বার্তাটি ওই ব্যক্তি যেন বাড়ি থেকে একা না বেরোয়। তাঁরা গল্পটি দেখিয়ে একেবারে ভালো কাজ করেনি। পুলিশ ইতিমধ্যেই ক্রু সদস্যকে নিরাপত্তা প্রদান করেছে। যদিও এই বিষয়ে এখনো কোনো এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়নি, কারণ তাঁরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাননি। 

রাজ্যে ‘শান্তি রক্ষণাবেক্ষণ’, ‘ঘৃণা ও সহিংসতার’ ঘটনা এড়াতে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ফিল্মটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। ছবিটি তিনজন নারীর অগ্নিপরীক্ষা বর্ণনা করে। যাদেরকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে আইএসআইএস ক্যাম্পে পাচার করা হয়। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে সিনেমাটিকে করমুক্ত করা হলেও এটি ঘিরে একটি অব্যাহত রাজনৈতিক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন সব প্রেক্ষাগৃহ থেকে সিনেমাটি সরিয়ে ফেলতে।


তবে এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ছবিটির প্রযোজক বিপুল অমৃতলাল শাহ বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি বিকল্প অনুসরণ করবেন বলে জানিয়েছেন। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে তারকা আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সিদ্ধি ইদনানি এবং সোনিয়া বালানি প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন। 

কেরালার  ৩২০০০ নারী নিখোঁজ হয়েছে এবং সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আইএসআইএসে যোগদান করেছে বলে এর ট্রেলারে দাবি করার পর ছবিটিকে ঘিরে একটি ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছিল। পরে ট্রেলারের বিতর্কিত চিত্রটি প্রত্যাহার করা হয়।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫