কিয়েভে মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া

প্রকাশকালঃ ৩১ আগu ২০২৩ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ ২০১ বার পঠিত
কিয়েভে মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া

সন্তের পর কিয়েভে সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বুধবার রাতে চালানো এই হামলায় দুই জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রাশিয়ার দাবি, তারা কৃষ্ণ সাগরে ৫০ জন সৈন্য বহনকারী চারটি ইউক্রেনীয় জাহাজ ধ্বংস করেছে।

কিয়েভ সিটি সামরিক প্রশাসন টেলিগ্রামে লিখেছে, ২০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন তাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ধ্বংস করেছে। বসন্তের পর এটিই শহরে আঘাত করা সবচেয়ে শক্তিশালী বিমান হামলা।

এএফপির একজন প্রতিবেদক স্থানীয় সময় সকাল ৫টার দিকে কিয়েভের কেন্দ্রে অন্তত তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। কিয়েভ সিটি মিলিটারি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান সের্গি পপকো টেলিগ্রামে লিখেছেন, ধ্বংসাবশেষ পড়ে যাওয়ার ফলে দুইজন মারা গেছে। 


আরও একজন আহত হয়েছেন এবং তাকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, রাশিয়ার বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে রাজধানীতে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন দিয়ে হামলা এবং বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

এর আগে, মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, একটি রুশ বিমান মস্কো সময় মধ্যরাতে কৃষ্ণ সাগরে চারটি উচ্চ-গতির সামরিক নৌকা ধ্বংস করেছে। নৌকাগুলো ইউক্রেনের বিশেষ অভিযান বাহিনীর অবতরণকারী দলগুলোকে নিয়ে যাচ্ছিল। সেনারা সংখ্যায় ৫০জনের মতো ছিল।

কৃষ্ণ সাগরের ঠিক কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে সে সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেয়া হয়নি। বুধবারের প্রথম দিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপল উপসাগরের কাছে একটি সামুদ্রিক ড্রোন আক্রমণ প্রতিহত করেছে বলে স্থানীয় মস্কোপন্থী গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ বলেছেন।


গত মাসে শস্য জাহাজের জন্য নিরাপদ ন্যাভিগেশন নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ-দালালি চুক্তির পরে ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয়ই কৌশলগত জলপথের চারপাশে তৎপরতা বাড়িয়েছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিয়েভ তার জলসীমায় এবং ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে রাশিয়ার জাহাজে আক্রমণ করেছে। গত সপ্তাহে ইউক্রেন বলেছিল, তাদের বাহিনী যুদ্ধকালীন দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি ‘বিশেষ অভিযান’ চলাকালীন ক্রিমিয়ায় দেশের পতাকা উড়িয়েছে।

মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও গত সপ্তাহে বলেছিল, তাদের একটি জেট কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার গ্যাস উৎপাদন সুবিধার কাছে ইউক্রেনের একটি ‘পুনরীক্ষণ জাহাজ’ ধ্বংস করেছে।