উজানে পানি কমলেও ভাটিতে হাজারো পরিবার পানিবন্দি

প্রকাশকালঃ ১৩ জুলাই ২০২৪ ১০:৫৮ অপরাহ্ণ ৪৬৯ বার পঠিত
উজানে পানি কমলেও ভাটিতে হাজারো পরিবার পানিবন্দি

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-



কুড়িগ্রামের উজানের নাগেশ্বরী ও সদর উপজেলার কিছু চরাঞ্চলে পানি কমতে শুরু করেছে। দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলেও ব্রহ্মপুত্রের তিন পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার উপরে বয়ে যাচ্ছে। ফলে এই নদের নিম্নাঞ্চলে এখনও হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি রয়েছে।

ভাগ্যক্রমে, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কমে যাওয়ায় নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ও বামনডাঙা ইউনিয়ন এবং সদর উপজেলার ঘোগাদহ ও হলোখানা ইউনিয়ন-সহ নদীর উজানের চরাঞ্চলের বাসিন্দারা পানি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। তবে দীর্ঘদিন পানিতে থাকায় তাদের ঘরবাড়ি ও রাস্তায় জমে থাকা কাদাপানি তীব্র ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 

ব্রহ্মপুত্র নদী নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া, উলিপুরের হাতিয়া ও চিলমারী পয়েন্টে শুক্রবার পর্যন্ত বিপৎসীমার উপরে ছিল। বর্তমানে এই নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। তবে সদরের যাত্রাপুর, উলিপুরের সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ ও হাতিয়া ইউনিয়ন এবং চিলমারী উপজেলার নিম্নাঞ্চল-সহ এ নদের তীরবর্তী এলাকায় এখনও পানি জমে আছে। দুই সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি থাকা হাজারো পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসকল এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্লাবিত এলাকায় গবাদিপশুর জন্য খাদ্যেরও অভাব দেখা দিয়েছে।
 

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব মশালের চর গ্রামের বাসিন্দা হামিদুল জানান, পানি কমতে শুরু করেছে বলে আশা জাগছে। তবে এখনও তাদের ঘরবাড়ির দরজায় পানি রয়েছে।
 

প্লাবিত এলাকায় খাদ্য সহায়তা পৌঁছানোয় বিলম্ব হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। গবাদিপশুর জন্য খাদ্য সংগ্রহেও সমস্যা হচ্ছে।
 

জেলা প্রশাসন দাবি করেছে যে তারা ত্রাণ তৎপরতা বাড়িয়েছে এবং বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসা ও স্যানিটেশন-এর ব্যবস্থা নিচ্ছে। চিলমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় গোখাদ্য বিতরণেরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
 

জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার তথ্য অনুযায়ী, চলমান বন্যায় জেলায় ৩৭ হাজার ৮৫ পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।